ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :
মোহাম্মদ মশিউর রহমান, শ্যামলী আক্তার ও এডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান গং ২০১৫ সালে ডগাইর মৌজায় ২২.৬৬ শতাংশ জমি কিনে নিজেরে নামে মিউটেশন করে আজ পর্যন্ত খাজনাি পরিশোধ করছে এবং প্রায় ৬০ লাখ টাকার মাটি ভরাট করে। সেই জমিতে দোকানঘর উঠিয়ে ভাড়া দেয়। এর প্রায় ১ বছর পর দলিল জালিয়াতি করে উক্ত জমি দখলের চেষ্টা করে নারায়ণগঞ্জের চিহিৃত ভূমি দস্যু আল জয়নাল প্লাজার মালিক জয়নাল আবেদীন।
এডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ততার কারনে একাধিক মামলায় আসামি হলে ২০২২ সালে জয়নাল এক রাতে উক্ত জমি খল নেয়। মোহাম্ম মাহবুবুর রহমান গং এর মিউটেশন বাতিল করার জন্য মামলা দিলে উক্ত মিউটেশন বাতিল না করে মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান গং এর পক্ষে বহাল থাকে।
উল্লেখ্য, জয়নাল আবেদীন ইতিমধ্যে একটি ওেয়ানী মামলা করে যাহার নম্বর দেওয়ানী ৬৫৬/২০২১ এবং সেই মামলা খারিজ করে আদালত মোহাম্ম মাহবুবুর রহমান খান গং এর পক্ষে ডিক্রি প্রান করেন। বর্তমানে জয়নাল বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময়ে সংগঠিত ছাত্র হত্যার একাধিক মামলায় পলাতক থাকলেও স্থানীয় সন্ত্রাসীদের েিয় নানাভাবে হয়রানি করছে এবং রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।
অবৈধভাবে জমি দখলে নেওয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে ভুমি অপরাধ আইনে মামলা হয়েছে এবং সেই মামলায় তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের অসংখ্য মানুষের জমি ভূমি দস্যু জয়নাল দখল করেছে এবং সে কারনে সে অসংখ্যবার জেলও খেটেছে। বিগত সরকারের আমলে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের নাম ভান্গিয়ে সে জমি দখলের কাজ করতো। এমনকি নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় অবস্থিত জয়নাল ট্রেড সেন্টারও জোর করে দখল করা জায়গায় নির্মাণ করা হয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে এসেও নিরীহ মানুষেরা এই চিন্হিত ভূমি দস্যু জয়নালের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
একাধিক মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামি হলেও সে প্রকাশ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এমনকি নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সামনেই প্রতিদিন অফিস করে।