ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নির্মাণাধীন ডিপিডিসির বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনার মাত্র একদিনের মধ্যেই ডাকাত সর্দার লিটনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১। এ সময় লুণ্ঠিত বিপুল পরিমাণ বৈদ্যুতিক মালামাল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
গত ২১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে শ্রমিকদের পোশাক পরে তিনজন ডাকাত নির্মাণাধীন সাবস্টেশনে প্রবেশ করে নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুল কুদ্দুস মিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে আরও ১৫-২০ জন ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে অন্যান্য গার্ডদের একইভাবে জিম্মি করে নির্যাতন চালায়। রাতভর চলে ডাকাতি।
ডাকাতরা কন্ডাক্টর ক্যাবল, রিং নেটওয়ার্ক, ট্রান্সফরমার ক্যাবল, বৈদ্যুতিক তামার তারসহ আনুমানিক ৬৫ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এরপর শ্রমিক ও প্রহরীদের একটি কক্ষে আটকে রেখে ট্রাকে করে মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সাবস্টেশনের দোভাষী মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। এরপরই র্যাব-১১ গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে।
২২ সেপ্টেম্বর থেকে চলমান অভিযানে র্যাব-১১ এর সদর কোম্পানির একটি দল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক অভিযান চালায়। এতে ডাকাত দলের সর্দার লিটনসহ ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন , মো. লিটন (৩৭), বাগেরহাট, মো. আক্তার হোসেন (৪৪), ডেমরা, ঢাকা, মো. রোমান (৩২), ডেমরা, ঢাকা, মো. রফিকুল ইসলাম (২৮), যাত্রাবাড়ী, ঢাকা ,সাইদুল ইসলাম (৩১), ডেমরা, ঢাকা, সাগর মুন্সি (৩৮), যাত্রাবাড়ী, ঢাকা, মো. আরিফ (২৬), যাত্রাবাড়ী, ঢাকা, মো. রিয়াজ (৩৮), ডেমরা, ঢাকা, মো. শহিদুল (৪০), ভোলা
তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত মালামাল, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, ২টি খেলনা পিস্তল, ২টি চাকু, ১টি চাপাতি এবং ১২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ডাকাত সর্দার লিটনের বিরুদ্ধে ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদকের মোট ৯টি মামলা রয়েছে। রোমানের নামে রয়েছে ৪টি মাদক মামলা এবং সাগর মুন্সির বিরুদ্ধে রয়েছে একটি মামলা।
র্যাব-১১ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।