ব্যবসায়ীদের থেকে লিজগ্রহীতার চাঁদাবাজির অভিযোগ

ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট 

নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়া এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ওপর চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি ও বিভিন্ন ধরনের হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে কথিত লিজগ্রহীতা মিসেস উম্মে সালমা মুন্নীর বিরুদ্ধে।

রবিবার (১২ অক্টোবর) ভুক্তভোগী একাধিক দোকান মালিক জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ব্যবসা পরিচালনায় প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাষাঢ়া মৌজার এসএ খতিয়ান নং–০৬ এর দাগ নং ২৯, ৩০ ও ৩৪ এর জমিতে বহু বছর ধরে একাধিক ব্যক্তি বৈধভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করে নিজ নিজ নামে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ২০২৪–২০২৫ অর্থবছর পর্যন্ত উক্ত জমি জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মিসেস উম্মে সালমা মুন্নীর নামে লিজ দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই লিজ বাতিল হয়েছে এবং জেলা পরিষদ থেকে ওই জমিতে কাউকে ভাড়া না দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, লিজ বাতিল হওয়ার পরও মিসেস উম্মে সালমা মুন্নি নিজেকে লিজগ্রহীতা দাবি করে দোকান মালিকদের কাছ থেকে জোরপূর্বক ভাড়া আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ভাড়া না দিলে তিনি বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, হুমকি প্রদান করেন এবং অগ্রিমের নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করেছেন, উম্মে সালমা মুন্নি নিজেকে এলাকায় ‘লেডি ডন’ পরিচয়ে প্রভাব খাটান এবং রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে আসছেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং ব্যবসা পরিচালনায় অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

এ অবস্থায় দোকান মালিকরা জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে তিন দফা দাবি জানিয়েছেন, কথিত লিজগ্রহীতার হুমকি ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ।প্রতিটি ব্যবসায়ীকে তাদের নিজ নিজ দোকানের জমি ব্যক্তিগত নামে লিজ প্রদানের সুযোগ সৃষ্টি।একটি স্থায়ী, নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করা।

দোকান মালিকরা বলেন, আমরা বৈধভাবে বহু বছর ধরে এখানে ব্যবসা চালিয়ে আসছি। কিন্তু এখন কথিত লিজগ্রহীতার ভয়ভীতি ও চাঁদাবাজির কারণে ব্যবসা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। জেলা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপই এখন আমাদের একমাত্র ভরসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *