ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন বন্দর উপজেলার অন্তর্গত মুছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির কর্মীসভা ও বিএনপি’ পরর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা বাস্তবায়নে লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
বক্তব্যের শুরুতেই প্রধান বক্তা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ করেছে সাধারণ জনগণ; অবশ্যই সাধারণ জনগণ করেছে। ৭৫-এর পরে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, হাসিনা বিরোধী আন্দোলন সবগুলোই করেছে সাধারণ মানুষ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা।
কিন্তু আজ যারা সংসদে যাবার জন্য, নমিনেশন নেবার জন্য পাগল হয়ে গেছেন তারা কিন্তু কোনো আন্দোলন-সংগ্রাম করেননি। আর আপনারা এমপি হতে চান কেন? আওয়ামী লীগের পারপাস সাফ করার জন্য! ওসমান ফ্যামিলির দালালি করার জন্য! আপনারা বিএনপির নাম বিক্রি করে এমপি হতে চাইছেন। সাবধান হোন ওসমান ফ্যামিলির পারপাস সাফ করার জন্য যদি বিএনপির নাম বিক্রি করেন, তাহলে আপনাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে ধামগড় ইউনিয়নের কামতাল মালিভিটায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
তিনি আরও বলেন আমি সুবিধাবাদী, নমিনেশন প্রত্যাশী ব্যবসায়ীদের বলতে চাই আমার ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে আমি মেম্বার, চেয়ারম্যান, এমপি থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত তৈরি করেছি। ৫ই আগস্টের পরও আমি ছয়-সাতজনকে চেয়ারম্যান বানিয়েছি। আর আপনারা যারা শিল্পপতি, আপনারা সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দেন, বিদ্যুৎ বিল ফাঁকি দেন, গ্যাস বিল ফাঁকি দেন। আমরা যদি ৪৫ বছর মাঠে-ময়দানে রাজনীতি না করে আপনাদের মতো ব্যবসা করতাম, তাহলে আমরাও আজ শিল্পপতি হতে পারতাম।
অ্যাডভোকেট টিপু আরও বলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান রেখে বলতে চাই আমি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি, তবে আমি সেই মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান করি না, যারা আওয়ামী লীগের পারপাস সাফ করে, ‘জয় বাংলা’ স্লোগান প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য কাজ করে।
যারা মুক্তিযোদ্ধাদের পুঁজি করে, মুক্তিযুদ্ধের নাম বিক্রি করে পেট চালায়তাদের আমি সম্মান করি না। আসল মুক্তিযোদ্ধারা কখনো মুক্তিযুদ্ধের নাম বিক্রি করে না। তারা এখনো রিকশা চালিয়ে খায়, ভ্যানগাড়ি চালিয়ে খায়, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করে না।
শেষে তিনি দামগড় ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে বলেন আপনারা সামনের দিনগুলোতে ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ ও সকল গ্লানি ভুলে একসাথে কাজ করবেন। সভাপতি, সম্পাদক, এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দদের বলছি আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে আপনাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করে আমাদের কাছে উপস্থাপন করবেন। অন্যথায় মহানগর নেতৃত্ব নিজেরা সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
পরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার লিফলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে সাধারণ জনগণ ও দোকানদারের মাঝে বিতরণ করেন।
ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মহসীন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশীদ লিটন।
এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, বন্দর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদুল্লাহ মুকুল, তাওলাদ মাহমুদ, ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন, সহ- সভাপতি কবির হোসেন, সহ- সভাপতি মোশারফ মৃধা, সহ- সভাপতি রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আপন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাউদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।