ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ ও মেয়াদী ম্যাজিস্ট্রেটদের যৌথ অভিযানে চাষাড়া রেলস্টেশন এলাকা থেকে মাদকবিরোধী একটি বিস্তৃত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে চাঞ্চল্যকর সংখ্যা ধরে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আটক করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্তের পর বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত আশঙ্কাজনক ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে দন্ডাদেশ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সদর বিভাগের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে জানান, “মাদকের হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় আজকের এই অভিযান। সারা নারায়ণগঞ্জ জেলায় এমনকি প্রতিটি এলাকায়, প্রতিটি থানায় এই অভিযান চলবে। এই মাদকের জন্যই আমাদের উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা আজ বিপথে চলে যাচ্ছে। মাদককে কেন্দ্র করেই কিশোর গ্যাং সৃষ্টি হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটছে। সেই জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি—এখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ ও বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে এখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। প্রচুর অফিসার অংশ নিয়েছে এবং আমরা একটি স্পটকে বেছে নিয়ে ব্লক দিয়ে দিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেছি।”
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযানে প্রথমে চাষাড়া রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থানরত সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯০ জনকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ ও যাচাই-বাছাই শেষে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে উক্ত স্থানে দস্যুতা, মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় ও অশান্তি সৃষ্টিসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দুইজন ম্যাজিস্ট্রেট তাদের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা প্রদান করেছেন। অভিযানকালে ১৮ জনকে তাদের অভিভাবকদের উপস্থিতিতে থানায় নেয়া হয়েছে এবং মুচলেকা নিয়ে আইনের আওতায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ ও সতর্ক করে ঘটনাস্থল থেকে ছাড়াও দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আল মেহেদী বলেন, “আমরা আজ একটি স্পটকে বেছে নিয়ে ব্লক দিয়ে দিয়ে এই অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রাথমিকভাবে সন্দেহভাজন হিসেবে প্রায় ৯০ জনকে আটক করা হয়নি—তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ও যাচাই বাছাই করে ৯ জন আসামীকে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রমাণ করা হয়েছে। ১৮ জনকে থানায় নিয়ে তাদের অভিভাবকদের সাথে কথা বলে মুচলেকার মাধ্যমে আইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।