
শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেল ৩টায় গোগনগরের পুরান সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আওতাধীন গোগনগর ইউনিয়ন শাখার কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সজল বলেন, “বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া কেউ যদি ফ্যাসিবাদীদের হয়ে সুপারিশ করেন, তাহলে সেটি আন্দোলনের নীতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, যিনি একসময় ক্ষমতাসীনদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন, তাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ তার মুক্তির জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেতা তদবির করছেন। শোনা যাচ্ছে, মাকসুদ হোসেন তাদের দলের বড় অর্থদাতা এবং ভবিষ্যতে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “আগে দেখা যেত, আওয়ামী লীগের দলে ঢুকলে রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা বনে যেত। এখন দেখি, ওদের দলে যোগ দিলেই রাজপথের পরীক্ষিত নেতা হয়ে যায়! কিন্তু আমরা বলতে চাই, যত ষড়যন্ত্র আর অপকর্মই করা হোক, সব কিছুর প্রমাণ আমাদের কাছে রয়েছে। আমাদের দলের কেউ অপরাধ করলে, দল ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু আপনাদের অপকর্মও আমরা লিপিবদ্ধ করে রাখছি, এবং জনগণের সামনে তা তুলে ধরা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আবারও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার নীলনকশা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, কিন্তু আমরা তা রুখে দেব।”
যুবদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “যারা অতীতে দলের আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন, তাদের মূল্যায়ন করা হবে। ৫ আগস্টের পর আমাদের দলের যেসব নেতাকর্মী অপকর্মে জড়িত হয়েছেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাদেরকে শাস্তি দিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন। আওয়ামী লীগ যেখানে অপরাধীদের পুরস্কৃত করে, সেখানে আমাদের দল অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়। কেউ যদি দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেন, তবে তিনি অবশ্যই সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় আসবেন।”
মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব শাহেদ আহম্মেদ বলেন, “যারা অতীতে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন, তারা অবশ্যই দলে যথাযথ মূল্যায়ন পাবেন। ছাত্রদলের সাবেক নেতারা যুবদলের নেতৃত্বে আসবেন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করবেন। জনগণের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে, তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে, তবেই সফলতা আসবে।”
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম, ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল, আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুবায়ের আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড. শাহিন খান, কাজী নাইসুল ইসলাম সাদ্দাম, আলী হোসেন সৌরভ, বাদশা মিয়া, মাসুদ রানা, মাকসুদুর রহমান শাকিল, রুবেল সরদার, রিয়াজুল আলম ইমন, জুনায়েদ মোল্লা জনি, হাবিবুর রহমান মাসুদ, আঃ কাদির, আশরাফুল হক তান্না, জাহিদুল হাসান শুভ, মাহফুজুর রহমান ফয়সাল প্রমুখ।