বন্দর প্রতিনিধি:
বন্দরে মাদ্রাসা ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে স্থানীয় জনতা লম্পট শিক্ষক হাফেজ হুসাইন আহাম্মেদ মাহফুজ (২৪) কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ধান্ধাবাজ আক্তার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের কর্তৃক দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার সাংবাদিক নুরুজ্জামান মোল্লা মারাত্মক ভাবে জখম হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলার কামতাল কবরস্থান হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ওই যৌন হয়রানি ঘটনাটি ঘটে। এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগী ছাত্রী অভিভাবকদের তথ্য সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় বৃহস্পতিবার সকালে ৩য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী কামতাল কবরস্থানস্থ হাফেজিয়া মাদ্রাসায় আসলে ওই সময় মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ফুসাইন আহাম্মেদ মাহফুজ ওই শিক্ষার্থী শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাতাহাতি করে যৌন হয়রানি করে । পরে ভূক্তভোগী ছাত্রী মাদ্রসা থেকে বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার মাদ্রাসায় এসে শিক্ষককে চর থাপ্পর দেয়। পরে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে এলাকার শত শত লোক জড়ো হয়ে উল্লেখিত শিক্ষককে আটক করে। ওই সময় স্থানীয় ধান্ধাবাজ আক্তার ও তার সহযোগিরা মাদ্রসার প্রধান শিক্ষককে আটক করে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। পরে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে সংবাদ দিলে খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লম্পট মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করে। ওই ঘটনার খবর পেয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্য দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার সাংবাদিক নূরুজ্জামান মোল্লা সংবাদের তথ্য সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে আসলে ওই সময় উল্লেখিত ধান্ধাবাজরা পেশাগত কাজে বাধা প্রদানসহ ধান্ধাবাজ আক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক নুরুজ্জামান মোল্লার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালায়। হামলায় সাংবাদিক নুরুজ্জামান মোল্লার মুখে ভিতরে কাটা জখম হয়। পরে তাকে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে তার মুখে ৪টি সেলাই দিতে হয়। এ বিষয়ে বন্দর থানার সেকেন্ড অফিসার খায়রুল বাশার বলেন, ছাত্রীর যৌন হয়রানির বিষয়ে মামলা নেয়া হচ্ছে আর সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।