বন্দরে টেঁটাযুদ্ধের ঘটনায় উভয় পক্ষের আটক ৪

বন্দর প্রতিনিধি:

বন্দরে দুই গ্রুপের টেঁটা যুদ্ধে ৪ জন টেটাবিদ্ধসহ দুই পক্ষের ১২ জন আহতের ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার বক্তারকান্দী এলাকার মৃত আঃ সালাম মিয়ার ছেলে আসলাম (৪২) ও একই এলাকার আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে ফয়েজ (৩০) একই এলাকার আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে মাকসুদ (৩০) ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শিমুলপাড়া মৃত আলাউদ্দিন মিয়ার ছেলে চাঁন মিয়া (৪০)। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত পৃথক ২টি মামলায় আদালতে প্রেরণ করা হয় । গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের দেওলী চৌরাপাড়া এলাকা অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এর আগে গত সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বন্দর থানার দেওলী এলাকায় দফা দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে আসমা আরেফিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে আরো ১৫/২০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৪২(৯)২৫। একই ঘটনায় জিয়াসমিন বেগম বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ ১৮ জনের নাম উল্লেখ্য করে একই থানায় অপর একটি মামলা দায়ের করে। যার অপর মামলা নং- ৪৩(৯)২৫।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিবাদী সাহিদ (৩২), নাহিদ (৩৪) নাদিম (৩৮), বাসেদ (৫৫), রোমান (৩২), জুয়েল (২৮), পারবেজ (৩০), আল রেখা(৩০), মাহবুব (৩২) সুমন (৩৫) ভুমি দস্যু ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। বাড়ির ঘর মেরামত করতে গেলে বিবাদীরা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। গত রোববার বিবাদীগণ নির্মাণাধীন ঘর তুলতে বাঁধা দেয়। এর সূত্র ধরে বিবাদীরা তাদের হুমকি দেয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করলে গত সোমবার সকালে উল্লেখিত বিবাদীরা আর্তকিত হামলা চালায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে থানায় বসার জন্য বলে পুলিশ চলে গেলে বিবাদীরা পুনরায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। ওই সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে শিরিন, জুবায়ের, আ: মালেক, রুহুল আমিন, ওমর ফারুক মাকসুদ, আমির হোসেন, রিনা বেগম, রুনা আক্তার। অপর গ্রুপের পারভেজ, বাসেদ ও নাদিম জখম হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *