ট্রিiবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
আমি কন্যাশিশু, স্বপ্নে গড়ি, সাহসে লড়ি, দেশরে কল্যাণে কাজ করি”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র্যালি বের করা হয়, যাতে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১০ জন সুবিধাবঞ্চিত নারীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়, যাতে তারা স্বাবলম্বী হয়ে নিজের জীবনমান উন্নয়ন করতে পারেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন,
“চ্যালেঞ্জ দেখে ভয় পাওয়া যাবে না। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মাধ্যমেই সফলতা অর্জন করতে হবে। মেধা ও সাহস দিয়ে চ্যালেঞ্জ জয় করে সমাজকে আলোকিত করতে হবে। কোনো পথই কণ্টকমুক্ত নয়।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে কন্যাশিশুরা আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন ও সাহসী হয়ে উঠেছে। তারা এখন অধিকার আদায়ে সরাসরি রাস্তায় নেমে আসছে। এটি আমাদের সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতিফলন। দেশ গঠনে নারী-পুরুষ সবার সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা অতিরিক্ত প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক ভিকারুন নেছা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইসরাত জাহান এবং মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম অফিসার আঞ্জুমান আরা। এছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও সমাজসেবকরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, জাতীয় কন্যাশিশু দিবসের লক্ষ্য হলো সমাজে কন্যাশিশুর অধিকার, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের এই আয়োজনে দিনব্যাপী কন্যাশিশুর ক্ষমতায়ন ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বিকাশের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়।