সোনারগাঁ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সায়মা আক্তার মীম (২২) হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছে কলেজের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহাসড়ক অবরোধ করে। প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী অবরোধে ঢাকামুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
অবরোধের আগে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। মানববন্ধনে বক্তারা মীম হত্যার দ্রুত বিচার ও হত্যায় জড়িত সব আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিখোঁজের চার দিন পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাইকারটেক ব্রীজ এলাকার পাশ থেকে স্কচটেপে মোড়ানো বস্তাবন্দি অবস্থায় সায়মা আক্তার মীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার দুই হাত-পা বাঁধা ছিল।
নিহত মীম পাবনা জেলার সুজানগর থানার দয়াল নগর গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে। পড়াশোনার সুবাদে তিনি মোগরাপাড়া আমতলা এলাকার ফিরোজ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থেকে সোনারগাঁ সরকারি কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন।
এই ঘটনায় নিহতের মামা খোকন শেখ সাগর বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
লাশ উদ্ধারের পরদিন পুলিশ মীমের স্বামী রায়হানকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, “শিক্ষার্থীদের অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে আমাদের পৌঁছানোর আগেই তারা অবরোধ তুলে নেয়।”
তিনি আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অন্য কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।”
অবরোধ ও মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, “মীমকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শুধু একজনকে গ্রেপ্তার করলেই হবে না— যদি আরও কেউ জড়িত থাকে, তাদেরও আইনের আওতায় আনতে হবে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধের সাহস না পায়।