ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশব্যাপী মব সন্ত্রাস, মাজার-খানকায়ে হামলা বন্ধ ও জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে শহরের মানববন্ধন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তারা চট্টগ্রাম বন্দর লিজ দেয়ার চক্রান্ত বন্ধেরও দাবি জানান।
বাম গণতান্ত্রিক জোট নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জেলার সভাপতি শিবনাথ চক্রবর্তী, বাসদ জেলার সদস্য সচিব আবু নাঈম খান বিপ্লব, বাসদ জেলা কমিটির সদস্য সেলিম মাহমুদ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একবছর অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু অন্তর্র্বতী সরকার আইনশৃখলার প্রশ্নে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। মব সন্ত্রাস তৈরি করে শতাধিক মাজার খানকা ভাঙা হয়েছে। মব তৈরি করে লালন মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাউল উৎসব, মেয়েদের খেলা বন্ধ করা হয়েছে। নারীদের হেনা করা হয়েছে। সর্বশেষ রাজবাড়িতে নুরাল পাগলা মৃত্যুর পর তৌহিদী জনতা নাম করে তাঁর লাশ কবর থেকে তুলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকার আছে, পুলিশ আছে, গোয়েন্দা সংস্থা আছে কিন্তু সবাই নিষ্ক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। নির্দিষ্ট মৌলবাদী গোষ্ঠী এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে। সরকারের একটি অংশ মবকে প্রেসার গ্রæপ বলে আস্কারা দিচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিলো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, গণবিচ্ছিন্ন শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য দায়ী সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু অভ্যূত্থানের পরেও আমরা নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে অন্তর্র্বতী সরকারের ব্যর্থতা দেখছি। গতমাসেও নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি ছিল প্রায় ১০শতাংশ। শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি। ফলে তাদের জীবনের সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।’
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বর্তমান সরকার চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে লিজ দিয়ে দেশের আমদানি-রপ্তানির প্রধান ক্ষেত্র সা¤্রাজ্যবাদের নিয়ন্ত্রণে তুলে দিচ্ছে। মায়ানমারে করিডোর দেয়া, স্টারলিংক এদেশে আনা এবং কাতার ও তুরস্কের অস্ত্র তৈরির কারখানা আমাদের দেশে করার অনুমতি দিয়ে দেশকে সা¤্রাজ্যবাদী যুদ্ধ চক্রান্তের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। এই সরকারের আর ক্ষমতায় থাকা দীর্ঘস্থায়ী করার কোন কারণ আমরা দেখছি না। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে সরকার ঘোষিত তারিখের মধ্যে একটি সুষ্ঠু, অংশগ্রহণ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করে এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।