ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় নারী ও শিশুকে মারধরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ ৬ জন আসামিরা জামিন পেয়েছেন।
গত ২৬ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ আদালত এলাকায় বিচারপ্রার্থী ও তার চেক জালিয়াতি মামলার শুনানিকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী, তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আদালতপাড়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পরে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
নানা নাটকীয়তার পরে ঘটনার তিন দিন পর, অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর, আহত ব্যবসায়ী ইরফান মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা নম্বর–৫৬ দায়ের করেন। মামলায় মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রধান আসামি করা হয়। এতে আরও নয়জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকেও আসামি করা হয়।
পরবর্তীতে ৩০ অক্টোবর সকালে মামলার প্রধান আসামিসহ ৬জন আসামিরা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাসুদের আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের ১০০ টাকার মুচলেকায় চার্জশিট প্রদত্ত জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন পাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি বলেন,আমার ক্লিন ইমেজকে নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে এই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। যারা বাদী হয়েছে, তারাই প্রথমে আইনজীবী সহকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। সেই ঘটনায় তারা মামলা দিতে গেলেও সেটি গ্রহণ করা হয়নি।”
তিনি আরও দাবি করেন,আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বলা হচ্ছে আমি নাকি প্রশাসনকে ফোন করে মামলা নিতে নিষেধ করেছি। কিন্তু আমি কখনও কাউকে ফোন করিনি। বরং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা সরকারি আইনজীবীদের আমার বিরুদ্ধে আপত্তি জানাতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এসময় আরও বলেন, তিনি সবসময় আইন ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি আস্থা রাখেন এবং এই মামলায় সত্য প্রকাশ পেলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের অসারতা প্রমাণিত হবে।