ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহ্ আলম বলেছেন, তিনি অতীতে যেমন দলের নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) ফতুল্লায় নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহ্ আলম বলেন, “কিছু কুচক্রী মহল বলছে আমি পদত্যাগ করেছি। কিন্তু দলের ‘এক নেতা এক পদ’ নির্দেশনার কারণে ফতুল্লা থানার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি নতুন নেতৃত্ব তৈরি হতে দিতে চেয়েছি। কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য হিসেবে দীর্ঘদিন দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালে আন্দোলন-সংগ্রামের সময় নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। “আমার বিরুদ্ধে ২৪টি মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন নিজের ফ্যাক্টরিতে যেতে পারিনি, তবুও নেতাকর্মীদের ছেড়ে যাইনি। আমার ওপর নানা জুলুম ও অত্যাচার হয়েছে, কিন্তু সব উপেক্ষা করে দলকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
শাহ্ আলম প্রার্থী বাছাই প্রসঙ্গে বলেন, “আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন, ক্লীন ইমেজের লোক, যারা দখলবাজি-চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত নয়, তারাই মনোনয়ন পাবে। আমি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে মনোনয়ন পেয়েছি। আল্লাহ চাইলে এবারও পাবো।”
তিনি নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস, মাদক ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নেয়ার অঙ্গীকার করেন। “আমি কখনও প্রশাসনের কাজে হস্তক্ষেপ করিনি। এমপি হলে জনগণের স্বার্থে কাজ করবো। ফতুল্লা ও কুতুবপুরকে আলাদা থানায় রূপান্তর করার জন্য উদ্যোগ নেব। জলাবদ্ধতা নিরসন এবং সামাজিক কল্যাণে কাজ চালিয়ে যাবো।”
শাহ্ আলম বলেন, “আমি প্রতিটি ওয়ার্ডে যাব, সবার সঙ্গে কথা বলবো। মানুষ আমাকে ভালোবাসে—এটাই আমার শক্তি। আল্লাহ যা ফয়সালা করবেন, আমি তা মেনে নেব।”