বন্দর প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে তুলে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের পর হুমকি দেওয়া হয়। ভয়, লজ্জা ও সামাজিক অপমানের শঙ্কায় কিশোরীটি ঘটনার রাতেই আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৭ অক্টোবর বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে স্থানীয় বখাটেরা কৌশলে কিশোরীটিকে সাবদী পার্ক সংলগ্ন রুহুল আমিন ও বাছেদের ফুসকার দোকানের পেছনে থাকা একটি ছোট কক্ষে ডেকে নেয়।সেখানে মূল অভিযুক্ত জনি ও তার সহযোগীরা মেয়েটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের সময় তারা কৌশলে মোবাইল ফোনে ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে। পরে তাকে হুমকি দেওয়া হয়।কাউকে বললে ভিডিও ছড়িয়ে দেব সোশ্যাল মিডিয়ায়।এই হুমকির পর থেকেই কিশোরীটি ভীষণ মানসিক চাপে পড়ে।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাত ১২টা ৩০ মিনিটে, বন্দর থানাধীন বাজার এলাকার ভাড়া বাসার ৫ম তলার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় কিশোরীটি।লাফিয়ে পড়ার সময় তার ডান হাত ও দুই পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুতরভাবে ভেঙে যায় ও জখম হয়।
অবস্থার অবনতি হলে পরিবার দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শারীরিক জখম ছাড়াও তীব্র মানসিক ট্রমায় ভুগছে ভিকটিম।
ঘটনার পরপরই ভিকটিমের বাবা নাসির বাদী হয়ে বন্দর থানায় অভিযোগ করেন পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে জনি ও ইমনকে মূল আসামিও সাথে আরও অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করা হয়। মামলা নম্বর ৫৩।
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। ভিডিও যাদের কাছে আছে বা যারা মীমাংসার চেষ্টা করছে তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।