ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
২০০৫ সালে এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালককে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুমের চেষ্টা করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর ধরে, এই মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক পলাতক আসামি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে ছিল। অবশেষে, তার লুকোচুরি জীবনের অবসান ঘটলো। শনিবার বিকেলে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামির নাম আব্দুল আউয়াল (১৯)।
শনিবার সন্ধ্যায় র্যাব-১ এর পক্ষ থেকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এবং ভারপ্রাপ্ত মিডিয়া অফিসার মোঃ পারভেজ রানা এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৫ সালে, যখন রূপগঞ্জের আদুরিয়া এলাকায় একদল অপরাধী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক হাদী দাউকে প্রথমে নেশাজাতীয় ট্যাবলেট সেবন করিয়ে এবং পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যার পর তারা লাশ গুম করার চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের অস্বাভাবিক আচরণে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় এবং তারা আসামিদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করে।
এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে আদালত ৪ জন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়াও, আলামত নষ্ট করার চেষ্টার জন্য আসামিদের ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের রায়ের পর থেকেই এই আসামিরা পলাতক ছিল। র্যাব-১ দীর্ঘদিন ধরে তাদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল।
র্যাব জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১, উত্তরা, ঢাকার একটি দল সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায়। এই অভিযানে নরসিংদী জেলার মাধবদী থানা থেকে মোঃ আব্দুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়। আব্দুল আউয়াল নেত্রকোণা জেলার নেত্রকোণা সদর থানার উত্তর বিশিউড়া গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।