ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারসহ পুরো জেলায় দলের রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসছেন।
আন্দোলন-সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে তিনি রাজপথে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। মামলা, হামলা ও নির্যাতনের ভয় উপেক্ষা করে আজও তিনি সক্রিয় রয়েছেন দলীয় কর্মসূচি ও জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে।
আড়াইহাজার উপজেলায় বিএনপির রাজনীতিতে নজরুল ইসলাম আজাদ একজন গুরুত্বপূর্ণ ও পরিচিত মুখ। কয়েক দশক ধরে স্থানীয় পর্যায়ে সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন তিনি। শুধু আড়াইহাজার নয়, পুরো নারায়ণগঞ্জ জেলাজুড়ে তিনি বিএনপি ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন সব সময়।
দলীয় নেতাকর্মীদের মতে, তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ নেতা, যিনি দলের কঠিন সময়ে নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন এবং রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও তাঁর গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
গত বছর জুলাই মাসে বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ব্যাপক বিক্ষোভ, পদযাত্রা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসব কর্মসূচিতে নজরুল ইসলাম আজাদ ছিলেন নেতৃত্বের সামনের সারিতে।
সরকারি দলের হুমকি ও পুলিশের বাধার মাঝেও তিনি কর্মসূচি সফলভাবে সম্পন্ন করেন। দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, আন্দোলনের সময় তিনি শুধু নেতৃত্বই দেননি, কর্মীদের মনোবলও দৃঢ় রেখেছেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগপন্থী সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর একাধিকবার হামলার চেষ্টা চালায়, এমনকি তাঁকে হত্যার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল বলে দলীয় সূত্রে জানা যায়। তবুও তিনি রাজপথ ছাড়েননি।
রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকার কারণে নজরুল ইসলাম আজাদের বিরুদ্ধে ৫০টিরও বেশি রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার অধিকাংশই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা।
তার বাড়ি-ঘর একাধিকবার ভাঙচুর করা হয়েছে। পরিবার ও সহকর্মীরাও হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে এসব হামলাকারীদের বেশিরভাগই পার পেয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মামলা-হামলা তাঁকে দমাতে পারেনি। তিনি আন্দোলনের মাঠে আগের মতোই সক্রিয় আছেন।
নজরুল ইসলাম আজাদ নিয়মিত অংশ নিচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় কর্মসূচিতে। সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল থেকে শুরু করে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা সবক্ষেত্রেই তাঁর উপস্থিতি চোখে পড়ে।
বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, দলের কঠিন সময়ে আজাদ ভাই আমাদের অনুপ্রেরণা। মামলা-হামলার ভয় না পেয়ে তিনি যেভাবে রাজপথে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা আমাদের আন্দোলনের শক্তি জুগিয়েছে।
আড়াইহাজার উপজেলায় বিএনপির সাংগঠনিক কাঠামোকে শক্তিশালী রাখতে তিনি সবসময় ভূমিকা রেখেছেন। স্থানীয় পর্যায়ে নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলা, দলীয় ঐক্য বজায় রাখা এবং কর্মীদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা জাগ্রত করার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আড়াইহাজার একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। সরকারি দলের দমননীতির কারণে যেখানে সংগঠন চালানো কঠিন, সেখানে নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বেই বিএনপি তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।
নজরুল ইসলাম আজাদের সাংগঠনিক দক্ষতা ও মাঠ পর্যায়ের নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছেও প্রশংসিত। তাঁকে প্রায়ই ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তাঁর নেতৃত্বের কারণে আড়াইহাজারে বিএনপির সংগঠন আগের তুলনায় আরও দৃঢ় হয়েছে।
মামলা, হামলা ও নির্যাতনের ভয় উপেক্ষা করে আজও নজরুল ইসলাম আজাদ রাজপথে আছেন জনগণের অধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে। তিনি শুধু একজন রাজনৈতিক নেতা নন, বরং আন্দোলনের এক সাহসী সেনানী।
আড়াইহাজার ও নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে তিনি একজন নির্ভরযোগ্য ও লড়াকু নেতৃত্ব, যিনি দমনের মুখেও থেমে যাননি। রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলন ও সাংগঠনিক লড়াইয়ে নজরুল ইসলাম আজাদ আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।