ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
গত ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভাবে হুমকি বার্তা ও হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে শীর্ষ ঋণ খেলাপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুরুজ মিয়ার বাহিনী। সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর ২০২৫- যে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে তার পরের দিন ও একইভাবে হুমকি – প্রদান করে যাচ্ছে সুরুজ বাহিনী।
স্বৈরাচার আওয়ামী অন্যতম দোসর, দুষ্কৃতকারী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রজনতা আন্দোলনের গণহত্যার অন্য তম খুনি, শামীম ওসমান ও নাসিম ওসমান বাহিনীর শিষ্য
নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী মাফিয়া ডন ঋণখেলাপি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের অন্যতম লুটপাটকারী, সুরুজ মিয়া ব্যাংকিংখাতে সবচেয়ে বড় যে কেলেঙ্কারি করেছে তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক। উক্ত কমার্স বাংকের যে জাল জালিয়াতি প্রকাশিত হয়েছে এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সুরুজ মিয়ার জালিয়াতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি সহ অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো। এই সংবাদ সম্মেলন পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি হুমকি প্রদান করা শুরু হয়েছে।
এসব হুমকি বার্তা ও হুমকি প্রদানের প্রতিবাদ জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন ও ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার ৩০ অক্টোবর, রাত নয়টায়, রাজধানী কাকরাইলে
শীর্ষ ঋণ খেলাপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রজনতা আন্দোলনের গণহত্যাকারী খুনি, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর সুরুজ মিয়া- ও তার গুন্ডা বাহিনীর
হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে জাতীয় মানবাধিকার সমিতি আয়োজিত জরুরী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন – জাহাঙ্গীর আলম – জয়নাল আবেদীন – তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন এর সভাপতি ও জাতীয় মানবাধিকার সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার : তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে শীর্ষ ঋণ খেলাপি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী সুরুজ মিয়া- ও তার গুন্ডাবাহিনীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছেন।
মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদারকে বলেন : জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রজনতা আন্দোলনের গণহত্যাকারী ও খুনি দুর্নীতিবাজ সূরুজ মিয়া ও তার পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। আজও আমরা সরকার ও প্রশাসনের কাছ থেকে কোনধরনের সহায়তা পাচ্ছে না এসব ভুক্তভোগীরা। সেই সাথে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সাথে যেসব জুলাই যোদ্ধারা আন্দোলনে অংশ গ্রহণ এসব জুলাই যোদ্ধাদেরকেও
হুমকি প্রদান করে যাচ্ছে সুরুজ বাহিনী। এভাবে প্রতিটি সংবাদ সম্মেলনের মধ্যে এসব বিষয়ে তথ্য উপাত্তের মাধ্যমে উপস্থাপন করা হলেও আজ ও সুরুজ মিয়া- এবং তার বাহিনীকে কেনো আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে না কার মদদপুষ্টে কোন শক্তির অজুহাতের মাধ্যমে সুরুজ বাহিনীকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না তার কারণ আমি জানতে চাই। সেই সাথে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক কর্তৃক সুরুজ মিয়া-র বিরুদ্ধে মামলা ও চার্জশিটভুক্ত করে দুদক থেকে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে ২৪ মার্চ ২০২৪ সালে। তারপরও সুরুজ মিয়া-কে গ্রেফতার করা হচ্ছে না সেই বিষয়টি জবাবদিহি করতে হবে দুদককে।
সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন- এই সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন ও বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি তার ৮৮ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি শুধু তাই নয়, তার প্রভাবে ৪৮ কোটি টাকার সুদ মওকুফের চেষ্টা , উক্ত ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন এ জালিয়াতি প্রক্রিয়ায় সায় না দেওয়ায় ষড়যন্ত্র করে তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এ ঘটনায় ব্যাংক খাতের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুরুজ মিয়া কার শক্তির প্রশ্রয়ে এতদিন ধরে আইনের ঊর্ধ্বে থেকে অপকর্ম চালিয়ে গেছে তা জনমনে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুরুজ মিয়া দীর্ঘদিন আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় থাকাকালে ক্ষমতা অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাস, দখলবাজি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা ও হত্যাকাণ্ডসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল ,জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর চালানো গণহত্যার সহযোগী হিসেবেও তার নাম উঠে এসেছে, যা জাতির বিবেককে আহত করেছে ,তাই প্রশাসন অনতিবিলম্বে নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী আওয়ামী মাফিয়া ডন ঋণখেলাপি সুরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানোর পর থেকেই এভাবেই একের পর এক হুমকি দিয়ে আসছে সুরুজ বাহিনী। আমরা সুরুজ মিয়া- ও বাহিনীকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।