ধর্ষণকারী রোকনকে গ্রেফতারে প্রশংসায় ভাসছেন ফতুল্লা থানা পুলিশ
ফতুল্লার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুলের নেতৃত্বে, ও তদন্তকর্মকর্তা আনোয়ারের নির্দেশনায়, সাব-ইন্সপেক্টর আরাফাতের বিশেষ অভিযানে মাদারীপুর শিবচর থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে ধর্ষণ মামলার আসামি লম্পট, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের মূল হোতা, জঘন্য ধর্ষণকারী রোকনকে গ্রেফতারের ঘটনায় প্রশংসার জোয়ারে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
গত (২৭ই আগস্ট ২০২৫ ইং) রিতু আক্তার (১৮), ফতুল্লা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে’ মামলার এজাহারে রিতু আক্তার (১৮), উল্লেখ করে।
আমি রিতু আক্তার (১৮), পিতা- বাতেন মিয়া, মাতাঃ-হোসনেয়ারা, সাং হরিহরদী, থানা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদী এ/পি সাং- গোদনাইল চৌধুরীবাড়ী মোস্তফার বাড়ী খালা রুবি বেগম এর ভাড়াটিয়া বাসা, থানা-সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ। সঙ্গীয় আমার বন্ধু হাবিবুর রহমান (২৮), পিতাঃ-মোঃ সেলিম সাং জয়নুদ্দিন ঢালিকান্দি, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুর এ/পি সাং- গোদনাইল ধনকুন্ডা উত্তর পাড়া, (আমজাদ মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ, জেলা- নারায়ণগঞ্জ, মোবাইল নং- ০১৭৭৮৩৫৫৮৪৫, কে সহ থানায় হাজির হইয়া আসামী ১। রোকন (৩৫), পিতাঃ- আঃ মালেক সাং- দক্ষিন কায়েমপুর, থানা- ফতুল্লা, জেলা-নারায়ণগঞ্জ এর বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি ইতিপুর্বে লেখাপড়া করতাম। আমার পিতা মাতা মারা যাওয়ায় অনুমান ০৩ বৎসর পূর্বে আমার খালা রুবি বেগমের সাথে উপরোক্ত ভাড়াটিয়া বাসায় থাকি। অভিভাবক হিসাবে সে আমাকে দেখাশুনা করে। জীবিকার তাগিদে কিছু দিন গার্মেন্টেসে চাকুরী করি। অনুমান ২/৩ মাস চাকুরী করার পর চাকুরী ছেড়ে দিয়া খালার বাসায় থাকি। ইং ২৬/০৮/২০২৫ তারিখ রাত্র অনুমান ০৯.০০ ঘটিকার সময় আমি ও আমার বন্ধু হাবিবুর রহমান সহ ব্যাটারী চালিত মিশুক গাড়ী যোগে চাষাড়া থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ২নং ঢাকেশ্বরী যাওয়ার সময় রাত্র অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় চাঁনমারী নতুন রাস্তার মুখে পৌঁছাইলে উক্ত আসামী একটি বাইক যোগে আমাদের বহন কৃত মিশুক গাড়ীর সামনে আসিয়া দাড়ায়। আসামী আমার বন্ধু হাবিবুর রহমান এর হাতে থাকা মোবাইল আমার নিকট দিতে বলে। সাথে সাথে আমার বন্ধু তার হাতের মোবাইল আমার কাছে দেয়। এরপর উক্ত আসামী আমার বন্ধুকে মিশুক গাড়ী হতে জোর পূর্বক নামিয়ে দেয় এবং আমাকে মিশুক নিয়া চলিয়া যাইতে বলে। আমি মিশুক নিয়ে একটু সামনে যাওয়ার পর সে বাইক চালাইয়া মিশুক গাড়ীর সামনে ব্যরিকেট দিয়া আমার হাত থেকে মোবাইল নিয়া নেয় এবং বিভিন্ন ভাবে ফুসলাইয়া আমাকে তাহার বাইকে তুলিয়া ফতুল্লা থানাধীন সন্তাপুর জেলা পরিষদের সামনে আসামীর বাড়ীর সামনে আসিয়া আমাকে দাঁড় করাইয়া বাড়ীর মধ্যে যায় এবং তার বাইক টি জম রাখিয়া বাসার গ্যারেজ থেকে একটি কালো গ্লাস লাগানো প্রাইভেট কার গাড়ী বাহির করিয়া আমাকে উক্ত গাড়ীতে উঠতে বলে। আমি গাড়ীতে উঠতে রাজী না হওয়ায় সে আমাকে প্রান নাশের হুমকি দেওয়ায় ভয়ে আমি গাড়ীর পিছনে উঠি। একই তারিখ রাত্র অনুমান ১০.৪৫ ঘটিকার সময় আসামী গাড়ী নিয়া লিংক রোডে উঠিয়া ফতুল্লা মডের থানাধীন পশ্চিম লামাপাড়াস্থ লিংক রোডে অবস্থিত একমি বিল্ডিংয়ের পাশে ফাঁকা জায়গায় গাড়ী থামাইয়া সেপর সামনের সিট হতে পিছনের সিটে আসিয়া আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়া আমার পরনের সেলোয়ার খুলিয়া ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। ধর্ষন শেষে আসামী আমার উলঙ্গ ছবি মোবাইলে ধারন করে এবং বলে যে যখন ফোন দিব তখন আসবি নচেৎ তোর উলঙ্গ ছবি লোকজন কে দেখাইয়া মান সম্মান ক্ষুন্ন করিব। এক পর্যায়ে আসামী আমাকে গাড়ী যোগে গোদনাইল নিয়া রাস্তায় নামাইয়া দিয়া আমার কাছে থাকা মোবাইল টি ফেরত দেয়। আমার বন্ধু হাবিবুর রহমান এর মোবাইল ০১টি রাখিয়া দেয়। এরপর আমি ভয়ে কাহারো নিকট ঘটনা না জানাইয়া গোপনে আসামীর ঠিকানা সংগ্রহ করিয়া পরবর্তীতে আত্মীয় স্বজন দের জানাইয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। অতএব, উল্লেখিত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে মর্জি হয়।
মামলা দায়ের হওয়ার সাথে সাথেই ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার-ইন-চার্জ ( ওসি) শরিফুল ইসলামের আদেশে, ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ওসি) আনোয়ার হোসেনের নির্দেশনায়।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ইয়াসিন আরাফাত, মামলার বিবাদী ধর্ষণকারী রোকনের বিরুদ্ধে মামলার সত্যতা, প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ, সংগ্রহের জন্য মাঠ পর্যায়ের তদন্ত নামে।
পুলিশের পাশাপাশি মামলার বিবাদী ধর্ষণকারী রোকনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমও, অনুসন্ধান শুরু করা অবস্থায় জানতে পারে ধর্ষণকারী রোকনের অপরাধ জগতের ভয়ংকর তথ্য। অনুসন্ধানে জানা যায় মামলা আসামি রোকন, ধর্ষণকারী লম্পট দূর চরিত্রহীন” শীর্ষ সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারি গ্রুপের প্রধান হোতা এই রোকন।
নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলা, ফতুল্লা থানার, কয়েকপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী’ একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগকারী, পূর্বে বিয়ে করা থাকা শর্তেও প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া, কাউকে না জানিয়ে নাম মাত্রায় বিয়ে করে ৫থেকে ৬টা, পরবর্তীতে প্রথম স্ত্রীর করা মামলার কারণে ধর্ষণকারী লম্পট দূর চরিত্রহীন রোকনের সাথে ছাড়াছাড়ি হয় প্রতারণার শিকার নারীদের সাথে।
তারপরও থেমে থাকেনি ধর্ষণকারী লম্পট দূর চরিত্রহীন রোকন, বিভিন্ন মেয়েদের সাথে ও বিশেষ করে প্রবাসীদের স্ত্রী কিংবা ডিভোর্সি নারীদের টার্গেট করে, প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম কৌশলে তৈরি করে অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক’ বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন প্রকার অজুহাতসহ নানা প্রকার লোভ-লালসার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করার পড়ে নিজের শারীরিক খায়েশ মিটিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল শেষে মেয়ের বিভিন্ন প্রকার অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে রাখে, পরবর্তীতে তাদের সাথে কোন প্রকার খোঁজখবর না নেয়া মিথ্যা আশ্বাস দেয়া একপর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় প্রতারণার শিকার নারীদের সাথে।
আবার এমনও অভিযোগ পাওয়া গেছে তার মোবাইলে ধারণ করা বিভিন্ন নারীদের অশ্লীল ভিডিওর ভয় দেখিয়ে, প্রতারণার শিকার নিরুপায় অসহায় নারীদের কে দিয়ে বিভিন্ন পুরুষদের কাছে পাঠিয়ে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জন করে এই ধর্ষণকারী-লম্পট দূর চরিত্রহীন”রোকন।
আরো জানা যায়’ ধর্ষণকারী-শীর্ষ সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারি” রোকনের পালিত কিশোর গ্যাঙ গ্রুপের প্রধান হোতা, এই লম্পট দূর চরিত্রহীন” রোকন অপরাধের জগতের মূল পরিকল্পনাকারী’ নিজের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন জেলা থেকে অপরাধ জগতের সাথে জড়িত থাকা যুবকদের এনে, কিশোর গেং দল তৈরি করে, তার দলবল নিয়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মমকাণ্ড, চাঁদাবাজি-ছিনতাই ও বিভিন্ন অপকর্ম।
বিভিন্ন সময় গভীর রাতে বা নীরব সময় চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ উপার্জন করতে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন জায়গায় কায়েমপুর-তল্লা- শিবু মার্কেট-ফতুল্লা স্টুডিয়াম-জালকুড়ি -ভুইগর-সাইনবোর্ড সহ আশেপাশের এলাকাতে লম্পট দূর চরিত্রহীন”শীর্ষ সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারি গ্রুপের প্রধান হোতা” নিরীহ বা গভীর রাতে দূরদূরান্ত থেকে আসা সাধারণ মানুষদেরকে অপহরণ তার নিজস্ব তৈরি করা কিশোর গ্যাং সদস্যদের মাধ্যমে, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল টাকা ছিনতাই করে’ আবার অনেক মানুষদেরকে আটকে রেখে পরিবারদেরকে বিভিন্নন ভয় টাকা আদায় করে ওই শীর্ষ ধর্ষণকারী-শীর্ষ সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজ-ছিনতাইকারি গ্রুপের প্রধান হোতা লম্পট দূর চরিত্রহীন রোকন।
মামলার তদন্ত শেষে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) ইয়াসিন আরাফাত, অভিযুক্ত ধর্ষণকারী আসামি রোকনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পদক্ষেপ নেয়।
পরবর্তীতে ফতুল্লা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে, ফতুল্লা মডেল থানা “তদন্ত কর্মকর্তা” আনোয়ার হোসেনের এঁর দিক-নির্দেশনায়, সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াসিন আরাফাতের বিশেষ অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে, ধর্ষণ মামলার আসামি লম্পট-ধর্ষণকারী, দূরচরিত্রহীন, শীর্ষ সন্ত্রাসী,চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের মূল হোতা রোকনকে মাদারীপুর শিবচর থেকে ফতুল্লা থানা পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার করা হয়।
এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম গণমাধ্যম কে বলে, ধর্ষণকারীদের বিরুদ্ধে আমরা তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনি কঠোর ব্যবস্থা সহ, অপরাধ দমন: মাদক উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে নজরদারি বাড়ানো এবং তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য ফতুল্লা থানা পুলিশ কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে।