
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার মাসদাইর এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান চলাকালে ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়। তবে কিছুক্ষণ পর, দেশীয় তৈরি অস্ত্র নিয়ে ১৫-২০ জন মাদক ব্যবসায়ী অভিযানকারী কর্মকর্তাদের উপর হামলা চালিয়ে আটককৃতদের ছিনিয়ে নেয় এবং তাদের গাড়ী ভাংচুর করে। এ সময় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এক কনস্টেবল আহত হন। হামলাকারীরা পরে মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আবারও হামলা চালায়, যার ফলে কর্মকর্তারা এক শিক্ষকের বাড়ীতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন।
এ ঘটনার পর, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞার নির্দেশনায় সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে বিজিবি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পুনরায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ২০ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজা, ১,৭০০ পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ, ফেনসিডিল, হেরোইনসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সেলিম ওরফে কসাই সেলিম এবং রাসেল ওরফে কসাই রাসেলসহ তাদের সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে মাসদাইর এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন এবং একাধিকবার পুলিশে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও একই কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মাদক ব্যবসায়ী সেলিমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং পূর্বে তাকে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা মাদক বিরোধী অভিযানকে তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আরও কঠোরভাবে পরিচালনা করছেন এবং তার নেতৃত্বে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন যে, নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের কোনো ধরনের ছাড় দেয়া হবে না।