ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জে শঙ্খনাদ, উলুধ্বনি, খোল-করতাল আর ঢাকের বাদ্যের তালে, অশ্রুভেজা ভালোবাসা আর আবেগঘন পরিবেশে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে শহরের ৩ নম্বর মাছ ঘাটে শ্রী শ্রী জয় ব্রজানন্দ ও জয় মা ভগবতী মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়া দশমীর কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে সদর উপজেলা ও আশপাশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপের প্রতিমা একই ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হয়।
বিসর্জন ঘাটে উপস্থিত দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ে ছয় বছরের শিশু অপু সাহা। র্যাবের পোশাক পরে সে উৎসাহের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করে সবার মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসারসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন ছিল। জেলার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আলমগীর হুসাইন।
বিসর্জনের সময় পূজারীদের মাঝে একদিকে ছিল আনন্দ আর উল্লাস, অন্যদিকে ছিল বিদায়ের বেদনা। বাবার হাত ধরে বিসর্জনে আসা ছোট্ট গৌরব দাস বলেন, “এবার অনেক মজা হয়েছে। প্রতিমার কাছে দেশের মানুষের মঙ্গল আর সকলে যেন সুস্থ থাকে সেই প্রার্থনা করেছি।”
ছাত্র ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বিসর্জন মিছিলে ফিলিস্তিন মুক্তির স্লোগান উচ্চারণ করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে এ বছর নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলায় মোট ২২৪টি পূজামণ্ডপে শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ১৩টি ঘাট নির্ধারণ করা হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও সামাজিক স্বেচ্ছাসেবকরাও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন।