ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০-শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্যে ভোগান্তিতে পড়ছিলেন চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। রোগীদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়া, বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়ে কমিশন বাণিজ্য এসব অপকর্মে হাসপাতালসংলগ্ন একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল বলে জোড়ালো অভিযোগ উঠেছে।
আর এই দালালদের শেল্টার দিয়ে অসাধু চিকিৎসক চক্র এবং হাসপাতালের বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকালে র্যাব ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে মোট ১৫ জন দালালকে আটক করা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টি এম রাহসিন কবির মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আটকদের মধ্যে ৮ জনকে তিন দিন করে ও ৭ জনকে সাত দিনের কারাদণ্ড দেন।
ম্যাজিস্ট্রেট রাহসিন কবির বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই দালাল চক্র রোগীদের হয়রানি ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। আজকের অভিযানে তাদের আটক করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
অভিযোগ রয়েছে, এই দালাল চক্রের পেছনে শহরের কিছু বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার জড়িত। এমনকি হাসপাতালের কিছু অসাধু চিকিৎসকও দালালদের মাধ্যমে কমিশন বাণিজ্যে সম্পৃক্ত বলে জানা গেছে।
সাধারণ মানুষের দাবি, দালাল চক্র নির্মূলে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারি ও কঠোর ব্যবস্থা অব্যাহত থাকলে খানপুর হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা পরিবেশ ফিরে আসবে।
একই সাথে খানপুর হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে জানান, ‘সরকারি বিশেষায়িত এই হাসপাতালের সুপার আবুল বাসার নিজেই একজন মহা ধুরন্ধর দূর্ণীতিবাজ। ফলে তিনি অন্য কারো বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেন না। সুইপার থেকে সুপার পর্যন্ত সকলেই নানা লুটপাটের যাথে যুক্ত৷ আর এখানে এই ১৫ দালাল গ্রেফতার করে কি দূর্ণীতি ঠেকানো যাবে ? এমন প্রশ্নও অনেকেই করেন