নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হতে চান মাকসুদ

বিশেষ প্রতিবেদক

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, রমজানের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও নির্বাচন আয়োজনের সময়সূচি চূড়ান্তভাবে নির্ভর করবে দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলগুলোর সদিচ্ছার ওপর। এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনকে ঘিরে নির্বাচনী তৎপরতা ইতোমধ্যে তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকাও দিন দিন দীর্ঘ হচ্ছে। এরই মধ্যে ভোটারদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন বন্দর উপজেলার জনপ্রিয় স্থানীয় নেতা মোঃ মাকসুদ হোসেন, যিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, মাকসুদ হোসেন ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন এবং সে লক্ষ্যে মাঠপর্যায়ে কার্যক্রমও শুরু করেছেন। তিনি মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে টানা তিনবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। এছাড়া ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে তার জনপ্রিয়তা আরও সুসংহত করেন।

সম্প্রতি তিনি ব্যক্তিগত অর্থায়নে বন্দরের নবীগঞ্জ স্ট্যান্ড থেকে মিনারবাড়ি সড়ক, ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানী বাজার থেকে চাঁন মার্কেট পর্যন্ত সড়ক এবং মিনারবাড়ি থেকে লাঙ্গলবন্দ সড়ক—এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের গর্ত ও খানাখন্দ ভরাট এবং সংস্কারের উদ্যোগ নেন। এতে পরিবহন চালক, যাত্রী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে।

এছাড়াও ব্যক্তিগত অর্থায়নে বিভিন্ন ইউনিয়নে ছোট-বড় ব্রিজ ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার, অসহায়দের জন্য ঘর নির্মাণ, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান, ঈদগাহ ও মন্দিরে আর্থিক সহায়তা, অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা এবং খেলাধুলা ও সামাজিক-শিক্ষামূলক নানা কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি জনগণের মধ্যে একটি ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছেন।

এই ধারাবাহিক জনকল্যাণমূলক কার্যক্রমের কারণেই বন্দর উপজেলা ও নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সাধারণ ও সচেতন ভোটারদের মধ্যে মাকসুদ হোসেনের প্রার্থীতা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা তৈরি হয়েছে। অনেকেই তাকে আসন্ন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পরামর্শ ও সমর্থন দিচ্ছেন।

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর ও বন্দর) আসনটি বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্যানুযায়ী এই আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ ৭৭ হাজার ৯০০।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মাকসুদ হোসেন যদি মাঠপর্যায়ে তার জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তিকে নির্বাচনী কৌশলের সঙ্গে সঠিকভাবে সমন্বয় করতে পারেন, তবে তিনি আসন্ন নির্বাচনে একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *