ফতুল্লা প্রতিনিধি
ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী সালেহ মাহমুদ বাবু ও নুর আলমের তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। এলাকাবাসীর দাবি—এই দুজনের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী চক্র বর্তমানে গোটা এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও দখলবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে লামাপাড়ার সাধারণ মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, বাবু ও নুর আলমের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র প্রতিদিন নতুনভাবে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা না দিলে হামলা, ভাঙচুর, হত্যার হুমকি—এসব এখন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যবসায়ী আঃ রহমান খোকনের দোকানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।এই ঘটনা ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এই সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন আওয়ামী সরকারের ছত্রছায়ায় থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে এসেছে। সরকার পরিবর্তনের পরও তারা আগের দাপটেই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছে। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও অনেকে ভয়ে নাম প্রকাশ না করে অভিযোগ দিচ্ছে।
এক স্থানীয় প্রবীণ নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই বাবু–নুর আলম জুটির কারণে আজ এলাকাটা নরকে পরিণত হয়েছে। তারা দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠছে। ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী—কেউই নিরাপদ না।”
আরেক ব্যবসায়ী বলেন, চাঁদা না দিলে দোকান ভাঙে, রাতে হামলা হয়। এভাবে আর বাঁচা যায় না। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে লামাপাড়ার মানুষ রাস্তায় নেমে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
এলাকাবাসীর দাবি, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী বাবু–নুর আলম ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
ফতুল্লা থানার ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বলেন, এই বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়ে তবে এখনও মামলা হয়নি। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো