
স্টাফ রিপোর্টার : নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে ঘিরে ইতিমধ্যে ঢাকাসহ আশপাশের কয়েকটি জেলাতে লক্ষ্য করা গেছে বিশৃঙ্খলা। এদিকে দেশের বাহিরে এবং দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের একাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী অনলাইন একটিভিস্ট তৎপর। নানাভাবে পুরনো ও নতুন ভিডিও দিয়ে দেশের জনগণকে করছেন বিভ্রান্ত একই সাথে অনলাইনেই বিদেশে বসে বসে আওয়ামী লীগ নেতাদের কমান্ড মোতাবেক দেশে থাকা নেতাদের রাজপথে নানাভাবে মাঠে থাকার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এমনিভাবে বিদেশে অবস্থানরত অনলাইন একটিভিস্ট মহসিনের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ থেকে তীব্র অভিযোগ পুলিশ বলছে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র ও জেলা পুলিশের বরাত দিয়ে জানা গেছে যে, বর্তমানে লন্ডনপ্রবাসী অনলাইন একটিভিস্ট মোহাম্মদ মহসিন সম্পর্কে স্থানীয়দের মধ্যে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে বলা হচ্ছে যে মহসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের প্ররোচনা মূলক পোস্টে নিষিদ্ধ ঘোষিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি সফল করার লক্ষে নাশকতার পরিকল্পনা করে আসছে এবং একটি সরকারি কর্তৃত্ব বা স্থানীয় শান্তি-বিচ্ছিন্নতার কারণ হয়ে উঠছে।—বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ এলাকায় লকডাউন সফল করার লক্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ও বাসে আগুন দেওয়া এই ধরনের কর্মকাণ্ডকে উদ্বেগজনক হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেগুলোর সাথে ইতিমধ্যে মহসিনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জেলা পুলিশ সূত্রে পাওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে মহসিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তাকে গ্রেফতার করা যায়নি কারণ তিনি বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন; তবে পুলিশ জানায় যে তিনি যদি দেশে প্রবেশ করেন তখন প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা অভিযোগ সূত্রের মূলে থাকা ঘটনাগুলো তদন্তের কথা জানিয়েছেন।
স্থানীয় বিএন পি নেতা দাবী করেছেন, মহিসন ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমানে ঘনিষ্ঠ সহচর, মহসিনের প্রতক্ষ্য ইন্ধন ও প্ররোচনায় ২০২৪ সালে তার কর্মীরা ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়েছে। নারায়ণগঞ্জ উপজেলা জামাতে ইসলামির নেতা মাওলানা মোহাম্মদ আবুল কালাম বলেন মহসিন একজন ইসলাম বিদ্বেষী মানুষ, সে বিভিন্ন সময় ধর্মপ্রাণ মুসলানের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে, নারায়ণগঞ্জ এর আপামর তৌহিদি জনতা মহসিনের শাস্তি চায়। স্থানীয় ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা বলেন যে মহসিনের বক্তব্য স্থানীয় ধর্মপ্রাণ সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করেছে; একই সঙ্গে এলাকার কিছু মানুষ অভিযোগ করেছেন যে মহসিনের অনলাইন পোস্ট ও ভিডিও বার্তা থেকে প্রভাবশালী সমর্থকরা স্থানীয়ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় ফতুল্লা বাজার জামে মসজিদের এক ইমাম জানান, তিনি বহুদিন ধরে মহসিনকে ‘মুসলিম সাম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাতকারী’ হিসেবে দেখেছেন এবং তিনি আবেদন করেছেন যে কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে করে ব্যবস্থা নিক নতুবা জনতার রোষানল থেকে সে মুক্তি পাবে না।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন যে ২০২৪ সালের (অগাস্টের) সংঘর্ষে অনলাইন প্ররোচনার ভূমিকা ছিল বলে তাদের কাছে প্রমাণ আছে। আমরা এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি এবং বলা হচ্ছে যে তদন্তপূর্বক প্রমাণ থাকলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফতুল্লা থানার পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “বিদেশে অবস্থানরত যে কোনো ব্যক্তি দেশের আইনের আওতায় আসলে সেক্ষেত্রে প্রযোজ্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি তিনি বলেছেন যে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজন হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নেওয়া হবে।
স্থানীয়রা চায় অভিযোগগুলো প্রমাণ করে প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিক। তারা পুলিশের কাছে আবেদন জমা দিয়েছেন ও স্থানীয় থানায় রিপোর্ট করার কথা জানিয়েছেন। স্থানীয় জনগণ ও জুলাই যোদ্ধাসহ বি এন পি, জামাতে ইসলামির নেতা কর্মী সমর্থকরা আকাঙ্ক্ষা করেন যে ঘটনার সব কৌতূহলজনক নথি ও মহসিন সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টগুলো বিবেচনায় নিয়ে তাকে আশু দেশে ফিরিয়ে এনে তার দ্রুত বিচার ও সাজা নিশ্চিত করা হোক।