
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ভাড়া বৃদ্ধি গণস্বার্থবিরোধী ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে উৎসব-বন্ধন পরিবহনের ভাড়া ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫৫ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও গণবিরোধী।
গত বছরের ৭ নভেম্বর দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশাসনের সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে ৫০ টাকা ভাড়া নির্ধারিত হয়েছিল। অথচ মালিকপক্ষের অযৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে গতকাল জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ভাড়া বাড়িয়ে ৫৫ টাকা করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্বির কোন যৌক্তিক কারণ নেই।
পূর্বে সরকারি বিধি ও দূরত্ব-ইউনিটের হিসাব দিয়ে ৪৫ টাকা ভাড়ার যৌক্তিক দাবি তুলেছিল নারায়ণগঞ্জবাসী। কিন্তু সমঝোতার স্বার্থে ৫০ টাকা মেনে নেওয়া হয়। এখন আবার ভাড়া বাড়ানো জনগণের প্রতি অবিচার ছাড়া কিছু নয়। ৫২ সিটের বাসকে ৪৫ সিট দেখিয়ে অন্যায় ভাড়া বৃদ্ধির পায়তারা বাস মালিকদের স্বার্থ রক্ষার সামিল। মালিকের ইচ্ছেমতো সিট বাড়ানো-কমানো কিংবা অতিরিক্ত ভাড়ার চাপ সাধারণ যাত্রীদের ওপর চাপানো একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
আমি মনে করি, ফ্যাসিবাদী সময়ে মালিকদের চাঁদা দিতে হলেও অভ্যুত্থানের পর সে চাপ থেকে মুক্তি মিলেছিল। গত এক বছরে জ্বালানির দামও বাড়েনি। সুতরাং এই সময়ে ভাড়া বৃদ্ধি সম্পূর্ণভাবে অযৌক্তিক এবং গণস্বার্থবিরোধী। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, যদি কোন চাদাবাজীর সংশ্লিষ্টতা থাকে তা দ্রুত জনগনের কাছে প্রকাশ করুন। জনগনের পকেট থেকে ১ টাকাও অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া অভ্যুত্থানের সাথে বেঈমানী।
অতএব, অবিলম্বে এই ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য জেলা প্রশাসক ও বাস মালিক পক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।