ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :
রবিবার ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২৮ মিনিটে শুরু হয়েছে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। এটি চলবে টানা সাত ঘণ্টা ২৭ মিনিট ধরে এবং শেষ হবে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে। পৃথিবী যখন সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে অবস্থান নেয় এবং পৃথিবীর ছায়া চাঁদকে সম্পূর্ণভাবে আচ্ছাদিত করে তখনই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ ঘটে। এই সময় চাঁদ গাঢ় লাল বা তামাটে রং ধারণ করে, যা সাধারণত ‘রক্তচাঁদ’ নামে পরিচিত।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে চন্দ্রগ্রহণটি স্পষ্টভাবে দেখা যাবে। তবে আকাশে যদি মেঘ থাকে, তাহলে গ্রহণ দেখায় বাধা পড়তে পারে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকেও এই চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে। ইন্দোনেশিয়ার হিলা দ্বীপ থেকে শুরু করে আফ্রিকার কেনিয়ার মোম্বাসা বন্দর পর্যন্ত অঞ্চলজুড়ে চন্দ্রগ্রহণটি পূর্ণাঙ্গভাবে দেখা যাবে।
এই দুই প্রান্তের কিছুটা পূর্ব ও পশ্চিমে আংশিক গ্রহণ দেখা গেলেও উত্তর আমেরিকা, ক্যারিবীয় অঞ্চল ও দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা থেকে এই গ্রহণ দৃশ্যমান হবে না।
বাংলাদেশ থেকে দেখা এই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ রাত ১১টা ১২ মিনিটে শুরু হয়ে মধ্যমুহূর্তে পৌঁছাবে রাত ১২টা ১৮ মিনিটে। এরপর রাত ১টা ২৪ মিনিটে পূর্ণগ্রাস শেষ হবে এবং চন্দ্রগ্রহণ শেষ হবে ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে।
এই গ্রহণ খালি চোখেই দেখা যাবে এবং এর জন্য কোনো সুরক্ষামূলক চশমা পরার প্রয়োজন নেই।
তবে কেউ যদি টেলিস্কোপ বা দূরবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করেন, তাহলে চাঁদের পরিবর্তন আরো স্পষ্টভাবে উপভোগ করা সম্ভব হবে।
পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুধু একটি মনোমুগ্ধকর মহাজাগতিক দৃশ্য নয় বরং এটি জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের গবেষণার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় চাঁদের গঠন, পৃথিবীর ছায়ার গঠন ও সৌরজগতের গতিপথ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তাই যারা জ্যোতির্বিজ্ঞানে আগ্রহী তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা হতে পারে।