আমাকে নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন মাওলানা ফেরদাউস : মাজেদুল

ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় নিজের বিরুদ্ধে আনা ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের জেলা সদস্য কাজী মাজেদুল হক।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ভূঁইগড় রূপায়ণ টাওয়ারে নিজ কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।

সাংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য কাজী মাজেদুল হক বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি যে, সাইনবোর্ডে অবস্থিত জমিয়তে উলামায়ে দলের কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে। জমিয়তে উলামা নেতা মাওলানা ফেরদাউস কার্যালয় ভাঙচুরের সাথে আমিসহ তিনজনকে জড়িত করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোন প্রকার তথ্য প্রমাণ ছাড়া আমাদের নামে মিথ্যাচার করেছে। আমরা কোনভাবেই এসব অপকর্মের সাথে জড়িত না।

তিনি বলেন, শান্তিধারায় আমার পৈতৃক জায়গায় একটি মার্কেট রয়েছে। বিগত ১৫ বছর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রাজ্জাক বেপারী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দখল করে রেখেছিল। কিন্তু গত ৬ সেপ্টেম্বর শান্তিধারায় আমার কালা চান সুপার মার্কেটে একদল সন্ত্রাসী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দখলের উদ্দেশ্যে হামলা করে। এই ঘটনায় আমি ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান ক্ষমতা হারনো ফ্যাসিস্টদের দোসর রাজ্জাক বেপারীর পক্ষ নিয়ে সম্পত্তি দখলের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কিছুদিন আগে মাওলানা ফেরদাউস আমার মার্কেট দখলের হুমকি দেন। আপনারা খোঁজ নিলে জানতে পারবেন এই মার্কেটের চারটি দোকান থেকে মাওলানা ফেরদাউস প্রতি মাসে ভাড়া নিয়ে যান। রাজ্জাক বেপারীর সাথে মালিকানা নিয়ে আমার দ্বন্দ্ব। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন এখানে মাওলানা ফেরদাউসের কি স্বার্থ?

ফ্যাসিস্ট দোসরদের সাথে হাত মিলিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তাদের অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় আমাকেসহ তিনজনকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছে। মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান ফ্যাসিবাদের দোসরদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় এবং নিজের আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে দোসরদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন এই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা।

সূত্রে জানা যায়, সাইনবোর্ড এলাকায় কালা চান সুপার মার্কেটের জায়গা নিয়ে আদালতে ২০০৯, ১৭ ও ২৪ সালের তিনটি মামলা চলমান রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *