ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইর এলাকায় কিশোরগ্যাং লিডার নাহিয়ান জয় ওরফে ইভন হত্যার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার পর থেকেই থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয়রা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে বাজার ও দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৭ সেপ্টেম্বর রাতে ইসদাইর স্টেডিয়ামের সামনে ইভনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তিন ভাই—সফিকুল, সাইফুল ও বাবু। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে খানপুর হাসপাতালে নেন। পরে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরিবারের সদস্যরা সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ইসদাইর এলাকায় দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাটে মানুষের উপস্থিতি কম এবং সর্বত্র এক ধরনের নীরবতা। স্থানীয়দের মতে, ইভন এলাকায় কিশোরগ্যাং এর লিডার ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত থাকলেও তাকে যেভাবে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করেছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “ইভনের মতো লোককে যদি প্রকাশ্যে কুপিয়ে মারা যায়, তাহলে সাধারণ মানুষের জীবন কতটা নিরাপদ? আজ তাকে মেরেছে, কাল কারও সঙ্গে শত্রুতা হলে আমাদেরও এইভাবে হত্যা করতে পারে। আমরা সবাই ভয়ে আছি।” তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের উচিত দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা।
ব্যবসায়ীরা জানান, হত্যার ঘটনার পর তারা ভয়ে দোকানপাট খুলছেন না। তাদের দাবি, এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা না হলে এমন পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।
ফতুল্লা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, ইভন হত্যার প্রধান আসামি সাইফুলকে আমরা আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এলাকাবাসী আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয় তবে সাধারণ মানুষ আরও বেশি অনিরাপদ হয়ে পড়বে।