ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :
সততা, ত্যাগ এবং জনগনের আস্থয় ভর করে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের জন্য প্রস্তুত আমি। দল যদি আমাকে এ আসনের মানুষকে সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমি আমার সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দেবো তাদের জন্য।
গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানিয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বারী ভূঁইয়া।এ সময় তিনি আরও জানান, আসন পুনর্বিন্যাসে ফতুল্লার মানুষ খুশি ও আনন্দিত। তাদের প্রত্যাশা ছিল, ফতুল্লার রাজনীতিতে যেন বাইরের কেউ এসে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।
নির্বাচন ঘিরে দেশে এক ধরনের প্রচলন তৈরি হয়েছে নেতারা মসজিদে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করছেন। বিষয়টি খারাপ নয়, তবে এটি কেবল নির্বাচন উপলক্ষে নয়, বরং সবসময় চালু থাকা উচিত।
একজন সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নিজের দীর্ঘ কর্মজীবন, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে তিনি মনে করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন তথা ফতুল্লার জন্য তিনি একজন পারফেক্ট প্রার্থী। ব্যবসায়ী মহলসহ এলাকাবাসী তাকে প্রার্থী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন, অনেকে ফোন করে শুভকামনা জানিয়েছেন। অনেক মসজিদে তার জন্য দোয়া হচ্ছে যেখানে তিনি নিজেও কখনো যাননি।
তিনি জানান, এর পেছনের মূল কারণ হলো সততা। তার বংশে কোনোদিন চাঁদাবাজি, ভূমি দস্যুতা, মাদক ব্যবসা বা মাদক সেবনের ইতিহাস ছিল না, এখনও নেই, ভবিষ্যতেও থাকবে না।
তিনি বলেন, আমাকে দল মনোনয়ন দিলে ভোটাররা অত্যন্ত আনন্দিত হবে। আমার কারণে কেউ কখনো ক্ষতির সম্মুখীন হয়নি, বরং উপকৃত হয়েছে। আমি সবসময় হালালকে গ্রহণ করি, হারামকে বর্জন করি। এজন্য সবাই মনে করছেন, সব দিক বিবেচনায় আমি যোগ্য প্রার্থী।
এছাড়া বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। সর্বশেষ সরকার পতনের আন্দোলনেও তিনি ও তার ছেলে শত প্রতিকূলতার মাঝেও নেতাকর্মীদের নিয়ে অংশ নিয়েছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়ে মামলা লড়ে আসছেন। বর্তমানে জেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটির অনেক নেতাকর্মীর মামলাও তিনি পরিচালনা করছেন।
ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে কোনো দুর্নীতির রেকর্ড নেই জানিয়ে তিনি বলেন, “আমার ছেলে-মেয়ে সুশিক্ষিত। কোনোদিন তদবির, সুদ বা ঘুষের মতো অপকর্মে জড়াইনি। নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থেকেছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। এজন্য আমাকে অনেক লাঞ্ছনা সহ্য করতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত নিজের উপার্জিত অর্থ দিয়ে রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছি।