বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিকে ঘিরে নিজেদের সাংগঠনিক শক্তি ও উপস্থিতি জানান দিতে চায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি। সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা স্থবিরতা থাকলেও এবার তারা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা করেছে।
শনিবার (২৪ মে) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের গ্রীন গার্ডেন রেস্টুরেন্টে জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে দীর্ঘ এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।
তিন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য
সভায় মূলত তিনটি কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়:
- ৩০ মে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন।
- ২৮ মে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিতব্য ঢাকা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে অংশগ্রহণ ও শক্তি প্রদর্শন।
- ১৫ মে থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম।
অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, “এই তিন কর্মসূচিকে ঘিরে আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিতে চাই। এবার প্রতিবন্ধকতা নেই, তাই প্রচণ্ড উৎসাহ নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছি।”
সমাবেশ ও সদস্য সংগ্রহে উচ্চাকাঙ্ক্ষা
আগামী ২৮ মে তারুণ্যের সমাবেশে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিশাল শোডাউনের প্রস্তুতি চলছে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা এতে বড় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়।
এদিকে, বিএনপি এবার সদস্য সংগ্রহে বড় লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। সারাদেশে এক কোটি নতুন সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নির্ধারণ করেছে দলটি। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিও সেই লক্ষ্য অর্জনে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
বৈষম্য ও অতীত নিপীড়নের পটভূমি
দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের শাসনামলে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা নানাবিধ নির্যাতন, হয়রানি ও বঞ্চনার শিকার হন। তাদের অনেককে পরিবার-পরিজন ছেড়ে আত্মগোপনে থাকতে হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা ব্যবসায়ও প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে এখন মাঠ অনেকটাই খালি। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিএনপি সংগঠিত হতে চাচ্ছে।
জেলা কমিটির নবায়ন ও সম্প্রসারণ
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক ও মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়াকে প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পাঁচ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ২৪ মার্চ এই কমিটি ৩৩ সদস্যে উন্নীত হয়। বর্তমান কমিটিতে রয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ও ত্যাগী নেতা।