
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার দুপুর সোয়া ১টায় নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শামসুর রহমান এ আদেশ দেন।
আইভীর পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এস এম সিদ্দিকুর রহমান। তিনি আদালতে বলেন, “আইভী একজন স্বচ্ছ ও পরীক্ষিত রাজনীতিবিদ। তিনি তিনবার সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং একবার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার গ্রেপ্তারে সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।”
আইভীর আরেক আইনজীবী মাহবুবুর রহমান মাসুম জানান, কারাগারে তাকে ডিভিশন দেওয়ার আবেদন করা হলে আদালত জেল কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল আইভীর পৈতৃক বাড়ি ‘চুনকা কুটিরে’ যায়। ২০২৪ সালের আগস্টে গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় দলের অধিকাংশ নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়ে গেলেও আইভী নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন।
পুলিশের অভিযানের খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই কয়েক হাজার এলাকাবাসী সড়কে নেমে আসেন। তারা ‘রাতের আঁধারে’ আইভীকে গ্রেপ্তার করতে দেয়া হবে না বলে স্লোগান দেন। অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালালেও, জনতার বাঁধার মুখে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে।
পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তখন আইভীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তবে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “রাতে আমি কোথাও যাবো না।” এরপর পুলিশের দলটি বাড়ির ভেতর অবস্থান নেয়। টানা ছয় ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে নিজেই স্বেচ্ছায় পুলিশের গাড়িতে ওঠেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তাকে নিয়ে যাবার সময়ও হাজারো নারী-পুরুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে তার প্রতি সংহতি জানায়।