ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানাধীন নোয়াদ্দা বাবুবাজার এলাকায় আলোচিত ব্যবসায়ী রাকিব (২৫) হত্যাকাণ্ডের মূল শুটার মো. মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মাসুদ পরিকল্পিতভাবে রাকিবকে রাস্তার পাশে ঝোপে ফেলে কোমর থেকে পিস্তল বের করে পরপর দুটি গুলি করে। হত্যার পর তিনি অস্ত্র উঠিয়ে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাসুদ ও তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে সোনারগাঁও ও আড়াইহাজার এলাকায় সশস্ত্র শোডাউন চালিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতি, লুটপাটসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি এই বাহিনী নিয়মিতভাবে মাদক সেবন ও কেনাবেচার সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।
অপরদিকে একই দিনে র্যাব-১১ এর আরেকটি দল মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বিশেষ অভিযানে মেঘনার শীর্ষ নৌ-ডাকাত আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ ক্যাম্পে সশস্ত্র হামলার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ আগস্ট বিকেলে গজারিয়া থানা পুলিশ ও গুয়াগাছিয়া ক্যাম্পের সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযান চালাতে গেলে নয়ন-পিয়াস ও আক্তারের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন ডাকাত স্পিডবোট ও হাইস্পিডি ট্রলারযোগে পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ডাকাতরা পালিয়ে গেলেও অভিযান চলাকালে একাধিক সরঞ্জাম উদ্ধার হয়।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, নয়ন, পিয়াস ও আক্তার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা নদীতে বালুমহল দখল, নৌযান থেকে চাঁদাবাজি ও গোলাগুলির মাধ্যমে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করছিল। গত এক বছরে তাদের গুলিতে স্থানীয় কয়েকজন নিহতও হয়েছেন।
র্যাবের আরেকটি দল পৃথক অভিযানে কুমিল্লার তিতাস থেকে শীর্ষ নৌ-ডাকাত মো. আক্তার সরকার (৫০)-কে গ্রেপ্তার করে। তিনি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানার আ. মজিদ সরকারের ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব-১১।