সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হাতুড়ি-লাঠির আঘাতে আহত সাংবাদিকরা

জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর শিক্ষক কর্তৃক বেধড়ক মারধর এবং পরবর্তীতে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, বিজ্ঞান ক্লাস বুঝতে না পারায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষক পরিবর্তনের দাবি করলে, অফিস সহকারী হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া তানভীর আহমেদ মুন্না ক্ষিপ্ত হয়ে ক্লাসে উপস্থিত প্রায় ৪১ শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এতে তাসনিম, কেয়া, তাবাসসুম, মীমসহ অন্তত চারজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।

মঙ্গলবার সকালে আহতদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষকের কাছে বিচার দাবি করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে আসেন গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, কয়েকজন শিক্ষকের উসকানিতে শতাধিক শিক্ষার্থী লাঠি, হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম, একাত্তর টিভির ভিডিও জার্নালিস্ট হাফিজুর রহমান, প্রাইম টিভির সাকের আহমেদ, অভিভাবক ওমেদ আলী এবং গাড়িচালক ইকবার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। রাকিবুল ইসলামকে পরে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে র‍্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবায়দুর রহমান ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিক নূরে আলম জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক মুন্নাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজন শিক্ষককে সাময়িক বহিষ্কার ও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির আশ্বাস দেন।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক তানভীর আহমেদ মুন্না পলাতক রয়েছেন এবং অভিভাবকরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *