
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে মাদক, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা, দেহ ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলোচনায় থাকা শামীম মিয়া এক সময় ছিলেন অধরা। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিরাপদ অবস্থানে থেকে তিনি গড়ে তোলেন একটি অপরাধ সাম্রাজ্য, যেখানে ভয় ছিল না আইনের, ছিল না সামাজিক জবাবদিহিতার।
বিশেষ করে ৫ আগস্টের পর তার নেতৃত্বে অপরাধ কর্মকাণ্ড আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসের পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও ভূমিদখল ছিল তার চক্রের প্রধান অবলম্বন। সম্প্রতি সেনাবাহিনীর এক অভিযানে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে তার কয়েকজন সহযোগী গ্রেফতার হলে বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। নতুন করে প্রশ্ন ওঠে—এই শামীম মিয়া কার আশ্রয়ে এতদিন ধরে এলাকায় ত্রাস ছড়িয়ে বেড়াচ্ছিলেন?
যদিও তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, শৃঙ্খলাভঙ্গ ও পেশীশক্তির অপব্যবহারের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় যুবদল আগেই তাকে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিল। তারপরও তাকে নিয়মিত যুবদলের ব্যানারে প্রকাশ্যে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেখা যায়।
তবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও শামীম মিয়াকে নিয়মিত বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা গেছে। দলের নির্দেশ অমান্য করে, কার ছত্রছায়ায় তিনি এখনও প্রকাশ্যে সক্রিয় রয়েছেন? এতে প্রশ্ন উঠেছে—শুধু বহিষ্কারেই কি থেমে থাকবে সাংগঠনিক শুদ্ধি অভিযান, নাকি তাকে ছায়া দেওয়া শক্তিগুলোকেও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে?
শামীম মিয়ার বহিষ্কার অপরাধের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক অবস্থানের ইঙ্গিত দিলেও, প্রশ্ন রয়ে যায়—কার শেল্টারে তিনি এখনও সক্রিয়? তাকে আশ্রয়দাতাদের মুখোশ উন্মোচন ও আইনের আওতায় আনা ছাড়া অপরাধের এই সংস্কৃতি থামানো যাবে না।