
প্রেস রিলিজ
এস. আলম রাজীবের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপহরণের অভিযোগ ও হয়রানির চেষ্টার বিষয়ে প্রেস রিলিজ
‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল’ এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস. আলম রাজীব ও তার পরিবার একটি অপহরণের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কতিপয় প্রশাসনের লোকজন কর্তৃক হয়রানির স্বীকার এবং সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হন।
এই ব্যাপারে এস. আলম রাজীব জানান, গত ১৬ই আগস্ট রাত ১২:২৩ মিনিট থেকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে অবিরত ফোন আসতে থাকে। আমি ঘুমে থাকায়, স্বভাবতই রাত ১২টার পর অজ্ঞাত ফোনগুলো রিসিভ করা হয় না এবং কারো বিশেষ জরুরি দরকার হলে আমাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই ট্যাক্সট ম্যাসেজ পাঠায়। এরপর আমার সহযোদ্ধা নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রনি আমাকে ফোন করে ঘুমন্ত কন্ঠ শুনে দুঃখিত বলে এবং আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার কোনো লোক কি কাউকে এনে আটক করে রেখেছে নাকি, তার কথা শুনে আমি হকচকিয়ে উঠি এবং তাকে বলি, আমি বা আমার কোনো লোক এই ধরনের কার্যক্রমে কখনোই যুক্ত না, আমার জানামতে এই ধরনের কোনো ঘটনাও ঘটেনি, এরপরও আমি খোঁজ নিচ্ছি। এরমধ্যে আমার ছোট ভাইকে একই কথা কল দিয়ে অবগত করে মহানগর ছাত্রদল নেতা ছোট ভাই আজিজুল ইসলাম রাজীব, সে জিজ্ঞেস করে যে ভাইয়ার নাম দিয়ে কি কেউ এমন কোনো কাজ করেছে নাকি।
অতঃপর আমি অজ্ঞাত নাম্বারের কলগুলো এটেন্ড করা শুরু করি, আমার সাথে প্রথম কথা বলেন নাঃগঞ্জ সদর মডেল থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টর, উনি প্রথমে আমাকে সৌজন্য রক্ষা করেই ফোনে বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করেন যে, শহীদনগর এলাকা থেকে একটি ছেলে অপহরণ হয়েছে এবং তার তখন পর্যন্ত সর্বশেষ লোকেশন পাওয়া গিয়েছে আমার বাড়ির আশেপাশে শহরের জামতলা এলাকায়। আমি তাকে বললাম, আমি চতুর্দিকে খোঁজ নিয়ে দেখছি, সকালে আমি আপনার সাথে কথা বলবো বা দেখা করতে হলে দেখা করবো। তখন সে প্রশ্ন করলেন আমি কোথায়, আমি তাকে বললাম গুলশানে। সে জানালো তারা আমার নারায়ণগঞ্জ এর জামতলার বাসার নীচে। আমি সাথে সাথে কল করে আমার বাবা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ নূর আলম মিয়া ও ছোট ভাই যুবদল নেতা এস. আলম ইসরাৎ -সহ আমার অন্যান্য কর্মীদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে বাসার নীচে প্রেরণ করি, প্রশাসনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য অপহরণের স্বীকার ব্যক্তিকে উদ্ধারের ব্যাপারে।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার দুইজন সাব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে একটি টীম এসে আমার বাবা ও ভাইয়ের সাথে অসদাচরণ শুরু করে এবং বিভিন্ন ধরনের কটুক্তি ও বাজে মন্তব্য করে আমার সম্পর্কে, বারবার আমার বাবাকে মানসিক চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এটি বলে যে আমি জড়িত এই অপহরণের সাথে এবং আমি মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছি। কারণ তারা ততক্ষণে আমার ফোন নাম্বার ট্র্যাকও করে এবং আমার লোকেশন নাকি গুলশান দেখায়নি। আমার প্রশ্ন হলো, আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, রাত পৌনে একটায় অজ্ঞাত নাম্বার থেকে আমাকে কেউ কল করলেই যে আমার নিজের সঠিক লোকেশন বলতে হবে, এটাতো আমি বাধ্য নই, ধরে নিলাম আমি সঠিক লোকেশন বলি নাই তাদের, কিন্তু তারা আমাকে দেখা করার অনুরোধ করলেই আমি চলে আসতাম রাতেই বা সকালে। অথচ আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ বা অভিযোগ ব্যতীত উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তারা পুরো ঘটনাটিই আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা শুরু করে। আমার পরিবার আমাকে জানায় যে তাদের ব্যবহারে মনে হচ্ছিলো তারা অপহরণ হওয়া ছেলেকে উদ্ধারের ব্যাপারে নয়, তাদের আমাকে হয়রানি করাই যেন মূল লক্ষ্য। তাদের এস. আলম রাজীবকে দরকার। এর ভিতর আমাকে কল দেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি’র শীর্ষ পদের একজন নেতা, তিনিও বলেন আমাকে ব্যাপারটি দেখতে দ্রুত, নয়তো প্রশাসন সিরিয়াস একশনে যাবে এবং তিনি যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন আমার সাথে।
এরপর আসি অপহরণ হওয়া ছেলেটির পরিচয়ের ব্যাপারে। তার নাম আব্দুল্লাহ বিন ফিরোজ, সে আজমেরী ওসমানের ক্যাডার মুকিতের মামাতো ভাই এবং নিজেও আজমেরী ওসমান সমর্থকদের মধ্যে অন্যতম একজন, ছবিতে দেখা যাচ্ছে আজমেরি ওসমানের ছবি সম্বলিত ব্যানার হাতে নিয়ে মিছিল করতে এবং আজমেরি ওসমানের নাম সম্বলিত পুষ্পস্তবক এর পাশে। আমার প্রশ্ন হলো ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনামুক্ত বাংলাদেশের প্রশাসনের লোক হয়ে এখনো কিভাবে আওয়ামী দোসরদের পক্ষ নিয়ে একজন জাতীয়তাবাদী মতাদর্শের কর্মীকে নিয়ে কোনো তদন্ত বা প্রমাণ ছাড়াই এহেন মন্তব্য করে, সেটা আমার বোধগম্য নয় এবং আমার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ বা এফআইআর-এ আমার নাম না থাকা সত্ত্বেও আমার ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে কিভাবে, এমনকি আমার নাম সন্দেহভাজনের তালিকায় পর্যন্ত নেই। আমি অপহরণ হওয়া ছেলেটির স্ত্রী থানায় অভিযোগকারী রাবেয়া খাতুন প্রিয়াঙ্কার সাথে ফোনে কথা বলি, সে জানায় সে কিংবা তার পরিবারের কেউ আমার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ প্রকাশ করে পুলিশকে কিছু বলে নাই এবং সাথে এটাও বলে যে এস. আলম রাজীব ভাই আপনার নাম শুনেছি অনেক কিন্তু কখনো আপনার ব্যাপারে কোনো অন্যায় বা খারাপ কিছু শুনি নাই। আমি তাকে আশ্বস্ত করি আমার টিম এবং পরিবার সবাই তার স্বামীকে খুঁজে বের করতে কাজ করছে একসাথে। পুলিশকে সহযোগিতা করছে, আমার বাবা ও আমার কর্মীরা থানায়ও গিয়েছে, অপহরণ হওয়া ছেলের পরিবার ও বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগও রক্ষা করেছে।
পরবর্তীতে জানতে পারি, আওয়ামী দোসর আব্দুল্লাহ বিন ফিরোজ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও একটি পরকীয়া প্রেমে জড়িত এবং তার সেই প্রেমিকার বাসা আমার একই এলাকায় জামতলা হাজী ব্রাদার্স রোডে। পরবর্তীতে তার প্রেমিকাকে মা সহ রাতেই আমার বাসার নিচের কার্যালয়ে আমার বাবা ও ভাই ডেকে আনে এবং তার জবানবন্দি রেকর্ড করে, তখন সদর মডেল থানার সেই দুই সাব-ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন এবং তাদের জবানবন্দিতে যথেষ্ট অসঙ্গতি খুঁজে পাওয়া যায়। এরপরও যেনো তাদের টার্গেট আমার দিকেই।
উল্লেখ্য যে, এই আব্দুল্লাহ বিন ফিরোজ নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ এর একজন সক্রিয় কর্মী। বর্তমানে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে সাইবারে ও রাজপথে তার অংশগ্রহণ লক্ষণীয় হওয়ায় গত দুইমাস আগে নিতাইগঞ্জের তামাকপট্টি এলাকার স্থানীয় এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সাংবাদিকসহ আমার বেশ কয়েকজন কর্মী তার বাসায় যায় তাকে এহেন কার্যকলাপ থেকে বিরত হতে, তখন তার বাবার সাথে কথা বলে এই বার্তা দিয়ে আসে যে তার ছেলে যদি আওয়ামী দোসরের কার্যকলাপ বন্ধ না করে, আমরা তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তথা সদর থানায় অবগত করে প্রশাসনের লোক ডেকে এনে হস্তান্তর করে দিব। তখন তার বাবা নিজেকে জামায়াতে ইসলামীর নেতা পরিচয় দিয়ে জানায় তার ছেলের ব্যাপারে সে দেখবে। আমার লোকজন যদি খারাপ ব্যবহার করতো তখন তার সাথে, তাহলে তোহ তার পরিবার তখনই থানায় অবগত বা অভিযোগ করার কথা।
গত ১৫ই আগস্ট সে অপহরণ হওয়ার পর একটি ভয়েস রেকর্ড আমার হাতে আসে, যা কথিত সেই অপহরণের পর তার মাকে করা কলের রেকর্ড। সে বলে যে টাকার জন্য সে অপহরণের শিকার এবং তার ব্যক্তিগত বিকাশে ৩ লাখ টাকা পাঠানোর জন্য এবং সেই কল রেকর্ডে তার এবং তার মায়ের কন্ঠে কোনো ধরনের উৎকন্ঠা পরিলক্ষিত হয় নাই। এরপর আমি আমার বাবা, ভাই এবং সকল কর্মী-সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলি দলমত নির্বিশেষে আমাদের নারায়ণগঞ্জের একটি ছেলে আব্দুল্লাহ বিন ফিরোজ অপহরণের স্বীকার, আগে সুস্থভাবে তাকে খুঁজে বের করাই এখন আমাদের মূলকাজ।
গত ১৭ই আগস্ট প্রথমে দুপুরে জানতে পারি তার বন্ধুদের থেকে যে তার খোঁজ ঢাকা গুলিস্তানে পাওয়া গিয়েছে এবং সে তার পরিবারকে তার মোবাইল থেকেই কল দিয়ে জানায় যে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে এবং রাতে সে বাসায় ফিরে এসে এলাকাবাসীকে জানায় যে, তার ফুফাতো ভাই আজমেরী ওসমানের লোক মুকিত কোথায় তা জানতে চেয়ে চাকু ধরে তাকে শহীদনগর ও বাপ্পি চত্বর এলাকার লোকজন ১৫ই আগস্ট সন্ধ্যায় তুলে নিয়ে যায়।
আমি গত দুই দিন ব্যাপারটি মিডিয়ার সামনে তুলে ধরি নাই প্রশাসনের তদন্তের স্বার্থে। কিন্তু এখন বাধ্য হয়ে মিডিয়ার সম্মুখীন হলাম, কারণ আগামীতে যাতে আবারো আমি কিংবা আমার মতো অন্য কেউ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রশাসনের কর্মকাণ্ডের মতো বর্তমানের প্রশাসন কর্তৃক এই ধরনের হয়রানির স্বীকার না হয়, সেই ব্যাপারে জেলার সম্মানিত ও সুযোগ্য পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং বিনা অপরাধে আমাকে এমনভাবে অসম্মান করা, আমার বিরুদ্ধে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ, আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা ও ছোট ভাইয়ের সাথে দুর্ব্যবহার, অসৌজন্যমূলক আচরণের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তুপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টরা অনলাইনে ভার্চ্যুয়াল জগত ও রাজপথে বিএনপি’র বিরুদ্ধে সকল প্রোপাগাণ্ডা, আওয়ামী তথ্য সন্ত্রাস ও গুজবের বিরুদ্ধে লড়াই করতে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সেখানে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিকে অন্যত্র সড়াতে, বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে নানান বানোয়াট অপরাধে অপরাধী হিসেবে মিথ্যা ট্যাগ লাগাতে এবং সর্বোপরি এহেন অপকৌশল সত্য প্রকাশে বা প্রচারে আমাদের মনোবলকে বাধাগ্রস্ত করার একটি সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের অংশ বলে আমি মনে করছি। আমার নেতা ও আমার একমাত্র রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের এক একটি নির্দেশনাকে আমরা আমাদের বর্তমান ও আগামীর রাজনৈতিক পথচলার দলিল হিসেবে জ্ঞান করে আমরা তা যথাযথভাবে মেনে চলতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং সেই মর্মেই আমরা দলের ভাবমূর্তি রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি। তাই গত আগস্ট’২৪ এ দীর্ঘ টানা ১৪ বছর আওয়ামী প্রতিহিংসার রাজনীতির স্বীকার হয়ে প্রবাসে অবস্থান করে নিজ মাতৃভূমি নারায়ণগঞ্জে ২১শে আগস্ট ২০২৪ ফিরে আসার দিন ‘সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও আওয়ামী দোসরমুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ি’ স্লোগানে মোটর র্যালীর কর্মসূচি পালন করি, সর্বপ্রথম মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে ‘৭১ ও ‘২৪ এর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে জিয়ারত শেষ করে র্যালীসহ ছুটে যাই পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এবং ফতুল্লা থানা, সদর মডেল থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা সহ সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এবং আমার নেতা জনাব তারের রহমানের বার্তা পৌঁছে দিতে, তাদেরকে রাজপথে নেমে এসে অপরাধকর্ম দমন করতে, অপরাধীদের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে, দেশের প্রশাসনকে ফ্যাসিস্ট হাসিনা নগ্নভাবে অপব্যবহার করে দেশের জনগণের মনে পুলিশ প্রশাসনের প্রতি যে নেতিবাচক ধারণা তৈরী করেছিল, আমরা সেই ধারণা পরিবর্তন করে আবারো প্রমাণ করতে চাই দেশের প্রশাসন-পুলিশ জনগণের বন্ধু, জনগণের রক্ষক- এটি বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করি, আহবান জানাই থানা থেকে রাজপথে নেমে আসতে, জনগণের কল্যাণে কাজ করতে। আমরা থাকবো তাদের পাশে ইনশাআল্লাহ তাদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে।
আমার নেতা জনাব তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছেন, কেউ নিজের হাতে আইন তুলে নিবেন না, মব ভায়োলেন্সকে উৎসাহিত করবেন না। আমরাও তাই নেতার এই নির্দেশনাকে মেনে মবের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছি এবং মবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে সকলকে নিরুৎসাহিত করতে মবের ব্যাপারে সোচ্চার ভূমিকা পালন করছি। গত এক বছর যাবৎ আমি বাংলাদেশে, রাজনৈতিক কাজে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ দুই জায়গায় মিলিয়েই আমি থাকি। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, কোনো ব্যক্তি বা প্রশাসন এমন কোনো একটি অভিযোগ করতে পারবে না আমার বা আমার কোনো কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে যে বিগত এক বছরে জনগণের সেবামূলক বা জনকল্যাণমুখী কর্মকান্ড ব্যতীত আমি কিংবা আমার নেতৃত্বে আমার কোনো কর্মী-সমর্থক কোথাও কারো থেকে এক টাকা চাঁদা দাবি করেছে বা কারো জায়গা দখল করেছে, কিংবা কোনো ধরনের মামলা বানিজ্য করেছে, অন্যায়-অনৈতিকভাবে কারো থেকে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছে অথবা আওয়ামী কোনো দোসরকে ব্যক্তিস্বার্থে পুনঃবাসন করেছে। সেখানে আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এমন একটি অভিযোগে অভিযুক্ত করার পায়তারা সত্যিই দুঃখজনক। আওয়ামী দোসরদের ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স, আমি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলবো, আপনারা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন, তাদের বিরুদ্ধে সক্রিয় হউন, বৈষম্য বিরোধী মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনুন, তারা নারায়ণগঞ্জে খোলামেলা চলাফেরা করে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে প্রতিনিয়ত কুটচাল চালিয়ে যাচ্ছে। সেদিকে আপনার আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এই ঘটনার ব্যাপারে এস. আলম রাজীবের সমর্থক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা-মহানগর এবং এর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড সাইবার ইউজার দলের নেতৃবৃন্দ দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এস. আলম রাজীব আমাদের অহংকার, উনি শুধু নারায়ণগঞ্জ এর নয়, উনি দেশবাসীর গর্ব দেশের ইতিহাসে সর্বপ্রথম সাইবার রাজনৈতিক সংগঠনের রূপকার হিসেবে। তিনি এতো তরুণ বয়সে আমাদের নারায়ণগঞ্জের সন্তান হয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে প্রতিনিধিত্ব করছেন, তার নেতৃত্বে দেশের ৫১টি জেলা, উপজেলা, থানা ও প্রবাসী বিভিন্ন দেশে জাতীয়তাবাদী অনলাইন এক্টিভিস্টদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাইবার ইউজার দল’ সত্য প্রচার ও অন্যায়ের বিরুদ্ধাচারণ করে আসছে সাইবার ও রাজপথে সমানতালে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ। এস. আলম রাজীবের মতো একটি উদীয়মান সূর্যকে মেঘাচ্ছন্ন করার জন্য, ঘায়েল করার জন্য, তাকে একটি মিথ্যা বানোয়াট অপহরণের অভিযোগে অপহরণকারী হিসেবে চিহ্নিত করার পায়তারা করা হয়েছে, যেখানে সদর থানার ঐ কর্মকর্তাদের হাতে এস. আলম রাজীবের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ বা তথ্য ছিল না। কোনো থানায় এস. আলম রাজীবের বিরুদ্ধে কোনো জিডি বা অভিযোগ নেই। নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকরাও কোনো অভিযোগ পেলেন না। কোনো পত্রিকায় কোনো রিপোর্ট প্রকাশ হলো না। অথচ পুলিশ এসে তার বাসায় মধ্যরাতে হয়রানির চেষ্টা চালালো, কেন এই অতিউৎসাহী পদক্ষেপ? বিগত ১৪ বছরও প্রতিহিংসার রাজনীতির স্বীকার হয়ে সে স্বদেশে নিজ মাতৃভূমিতে পরিবার পরিজনের সাথে অবস্থান করতে পারে নাই, কিন্তু এখন ফ্যাসিস্টরা পালিয়ে যাওয়ার পরও একই দৃশ্য আবারো ঘটানো, সত্যিই অনাকাঙ্ক্ষিত। তিনি উদীয়মান জনপ্রিয় তরুণ নেতা। বিগত সরকারের আমলেও তিনি বিরাট ত্যাগ স্বীকার করেছেন টানা ১৪ বছর শুধুমাত্র ওসমানদের রোষানলের স্বীকার হয়ে দেশের বাইরে থেকে। আজমেরী ওসমান তাকে অপহরণ করার চেষ্টা চালায়, তার ব্যক্তিগত গাড়িতে শনির আখড়া এলাকায় গুলি করে, সন্ত্রাসীদের গডফাদার শামীম ওসমানের পুত্র অয়ন ওসমান অনলাইনে বেশ কয়েকবার নিজ আইডি থেকে তাকে নারায়ণগঞ্জে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। তাই তার ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় ইর্ষান্বিত হয়ে তাকে এখানেই থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্ঠা চলছে। ফলে ভয়ানক এই ষড়যন্ত্রের শিকার হলেন এস. আলম রাজীব।