আড়াইহাজারে মেঘনায় নৌপথে চাঁদাবাজীর সময় জনতার ধাওয়া,স্পীডবোর্ড জব্দ

আড়াইহাজার প্রতিনিধি

আড়াইহাজারে মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড গতিরোধ করে চাদাঁবাজির সময় জনতা চাঁদাবাজদের ধাওয়া দিয়েছে। ধাওয়া খেয়ে চাঁদাবাজরা তাদের স্পীডবোর্ড রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ চাঁদাবাজদের ব্যবহৃত স্পীডবোর্ড জব্দ করে। সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় মেঘনা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।

চৈতনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা নবী হোসেন জানান, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে পাথর, বালু, কয়লাসহ বিভিন্ন পণ্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড মেঘনা নদীর আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী দয়াকান্দা- বিবির কান্দি এলাকা দিয়ে নুনেরটেক, বৈদ্যেরবাজার ও মেঘনা সেতু এলাকা হয়ে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুরসহ আশপাশের জেলায় যাতায়াত করে।

এসব পন্যবাহী জাহাজ ও বাল্কহেড মেঘনা নদী দিয়ে আড়াইহাজার অংশে প্রবেশ করার পরই স্থানীয় চাদাঁবাজদের চাদাঁদিতে হয়। চাঁদা না দিলে চাঁদাবাজরা তাদেরকে শারীরিক মানসিক নির্যাতন করে।

ঘটনার দিন সোমবার সিলেট থেকে আসা একটি বালুবাহী ট্রলার মেঘনা নদী দিয়ে বিশনন্দী এলাকায় মেঘনা নদীতে পৌছালে স্পীডবোড দিয়ে চাঁদাবাজরা ট্রলারের গতিরোধ করে চাঁদা দাবী করে। বাল্কহেডের চালক সাগর মিয়া এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে পাশের গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানায়। পরে বিশনন্দী এলাকার লোকজন ট্রলার নিয়ে চাঁদাবাজদের ধাওয়া দেয়। চাঁদাবাজরা দ্রুত স্পীডবোর্ড পাশর্^বতী গহরদী রেখে সড়ক পথে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে স্পীডবোর্ড জব্দ করে।

বাল্কহেডের চালক সাগর মিয়া আরও জানান, আমরা পাথর ও বালু বোঝাই করে আসার সময় মেঘনা নদীর বিশনন্দী ফেরিঘাটের অদুরে পৌঁছালে আমাদের প্রতিনিয়ত চাদাঁদিতে হয়।

গোপালদী তদন্ত কেন্দ্রে উপ-পরিদর্শক আক্তার হোসেন জানান, পুলিশ চাঁদাবাজদের ব্যবহৃত স্পীডবোর্ড জব্দ করে এর মালিকানা ও ব্যবহারকারীদের অনুসন্ধান করছে।

আড়াইহাজার থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন জানান,স্পীপ বোর্ডটি কার ত্ ানিয়ে তদন্ত চলছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কারা চাদাঁবাজি করে তা জানাতে পারেনি পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *