ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জের চানমাড়ি এলাকা আবারও আলোচনায়। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে হঠাৎ করেই এলাকায় চলাচলরত মৌমিতা পরিবহনের একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা যায়, সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে গাড়িটি থামিয়ে চালক ও হেলপারকে বেধড়ক মারধর করে এবং গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সন্ধ্যার কিছু পরে চানমাড়ি মোড়ে মৌমিতা পরিবহনের একটি গাড়ি পৌঁছালে কয়েকজন সন্ত্রাসী হঠাৎ করেই গাড়ির সামনে এসে দাঁড়ায়। তারা কোনো কারণ ছাড়াই গাড়ি থামিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় বাসচালক ও হেলপারকে লাঠি ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। একই সঙ্গে গাড়ির সামনের কাচ ও ভেতরের আসন ভাঙচুর করা হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পুরো ঘটনাটি ঘটে যায়।
স্থানীয়রা জানান, হামলার শব্দ শুনে অনেকে ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলেও সন্ত্রাসীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। আহত চালক ও হেলপারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়, তবে প্রচণ্ড মারধরের কারণে তারা গুরুতর জখম হয়েছেন।
হামলার ঘটনার পর মৌমিতা বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, বিগত কয়েক মাস ধরে তাদের গাড়িগুলোকে লক্ষ্য করে একাধিকবার ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটছে। এটি পরিকল্পিত নাশকতা ছাড়া আর কিছু নয়। সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ করে বলেন, যাত্রী সেবা দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিচ্ছি। অথচ একশ্রেণির সন্ত্রাসী চক্র আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে শ্রমিকদের আহত করছে। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয় তবে শ্রমিকরা সড়কে নামতে ভয় পাবে, এতে পুরো পরিবহন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
নারায়ণগঞ্জের পরিবহন খাত দীর্ঘদিন ধরেই অস্থিরতার মধ্যে রয়েছে। কখনো রুট নিয়ন্ত্রণ, কখনো চাঁদাবাজি—এই দুই কারণে বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক লেগেই থাকে। অতীতে একাধিকবার দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারের লড়াইয়ে গাড়ি ভাঙচুর ও শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতি যাত্রীদের জন্যও অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।