শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী রকির তান্ডবে অতিষ্ঠ গাবতলীবাসী

ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট

ফতুল্লার গাবতলী, ইসদাইর এলাকায় এখন আতঙ্কের আরেক নাম রকি! প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি,সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে মহড়া, চাঁদাবাজি,দখলদারি সবই হচ্ছে রকির নেতৃত্বে। রকির পালিত কিশোরগ্যাং দ্বারা সকল অপকর্ম করে থাকেন তিনি। এলাকার কেউ তার এইসকল অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে হতে হয় হামলার শিকার।

গত ২৪ শে সেপ্টেম্বর গাবতলী কাপড়পট্টিতে মাদকসেবনে বাঁধা দেওয়ায়  যুবদল নেতা আশরাফুল হক তান্নাকে কুঁপিয়েছে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী রকির ও তার লোকজন। গাবতলী কাপড়াপট্টি রাস্তার মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। ‎ ‎

তান্না জেলা যুবদলের সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বর্তমানে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তিনি শহরের খানপুর মেইন রোড ডনচেম্বার এলাকার ইকরামুল হকের ছেলে। এ ঘটনায় ফতুল্লা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ‎ ‎

ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, গাবতলী কাপড় পট্টি এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী রকি (৩৪) এবং একই এলাকার কামালের ছেলে উৎস (২৮) দীর্ঘদিন যাবৎ বাদীর ভাড়াটিয়া বাড়িতে যেয়ে ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে মাদক সেবন করে। বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে তান্না তার ভাড়াটিয়া বাড়িতে যেয়ে দেখতে পান অভিযুক্তরা মাদক সেবন করছে। এসময় তাদের বাধা প্রদান করলে অভিযুক্তরা বাসা ছেড়ে চলে গেলেও কিছুক্ষন পর ১০/১৫ জন পূনরায় দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অতর্কিতভাবে তান্নার ওপর হামলা করে। এক পর্যায়ের সন্ত্রাসী রকি এবং উৎস ধারালো চাকু দিয়ে তান্নার মাধায় কোপ দিলে  সেটি তার গালেন ডান পাশে লেগে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম হয়। ‎ ‎পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তান্নাকে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। ‎

একাধিক সূত্রঅনিযায়ী জানাযায়, রকি একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও আন্তঃজেলা মাদক ব্যবসায়ী। রকির থাকেন থাকায় তবে তিনি গাবতলী ইসদাইর এলাকায় গড়ে তুলেছেন এক বিশাল মাদক সম্রাজ্য। এক প্রকার প্রকাশ্যেই তিনি এই মাদক ব্যবসা পরিচলনা করে থাকেন।

সুত্রনুসারে জানাযায়, ফতুল্লা থানা পুলিশ ও জেলা গোইয়েন্দা ডিবিকে মাসে মোটা অঙ্কের মাশোয়ারা দিয়ে থাকেন রকি এর ফলে তিনি দেদারছে তার মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন।

রকি একাধিক বার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও টাকার বিবিময়ে ছাড়া পেয়ে যান। বেশকিছু আগে কুমিল্লায় ১০০ কেজি গাজাসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলো রকি। পরে টাকার বিনিময়ে জামিনে বের হয়ে আবারও শুরু করেন তার মাদক ব্যবসার কার্যক্রম।

এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীরা বলেন, মহল্লার অনেক ছেলেরা মাদকে জড়িত। এর মধ্যে রকি ও উৎস প্রকাশ্যেই মাদক সেবন করে। তারা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। ইতিপূর্বে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন জায়গায় মাদকের চালান নিয়ে গ্রেফতার হয়েছে এই রকি ও উৎস। এলাকাবসীর দাবি দ্রুত প্রশাসন এইসকল মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনলে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কোঠর আন্দোলন গড়ে তুলবে। তাই তারা নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এই মাদক ব্যসায়ী রকির ব্যবাপারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *