বন্দর প্রতিনিধি
বন্দরে হোন্ডা অপহরণকে কেন্দ্র করে হোসিয়ারী কর্মী আলমগীর(৫০)কে বিচার শালিষ থেকে তুলে নিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার ৩রা অক্টোবর বিকাল ৫ টায় বারইপাড়া এলাকায় জোড়া পুকুরের সামনে এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত আলমগীর বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার মৃত সোহবান মিয়ার ছেলে ও মালেক সিকদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া।
জানা গেছে,বন্দর শাহীমসজিদ এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক আলমগীরের ছেলে মুন্নার সাথে স্বল্পের চক এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে জুয়েলের মোটর সাইকেল নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। দ্বন্দ নিরশসন করতে স্থানীয় ভাবে বিচার শালিষের আয়োজন করা হয়। বিচার শালিষের মধ্যেই জুয়েলের সাথে মুন্নার পিতা আলমগীরের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জুয়েলসহ একই এলাকার সোয়েব গ্রুপের সন্ত্রাসী রাসেল ও কাইল্লা পারভেজ,কালু,ফয়সাল,সুমন,রবিন,ফরহাদ,মনিরহ ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ বিচার শালিষ থেকে আলমগীরকে বিচার শালিষ থেকে তুলে নিয়ে যায়। বারইপাড়ার জোড়া পুকুরের সামনে তাদের মধ্যে দস্তাদস্তি হয়। দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে আলমগীরকে সুইচ গিয়ার দিয়ে কুপিয়ে ও মাথা পাশের দেয়ালে সজোরে ধাক্কা দিলে তার মাথা ফেটে গুরুতর জখম হয় ।
পরবর্তীতে তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার (৪ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করে।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী জানান, লাশ ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘটনাস্থল পুলিশ পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।