ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে আমি ৪৬ টি মামলার আসামি। তবুও আজকে অনেকে কিছু ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানের পুরনো ছবি দেখিয়ে আমাকে আওয়ামী লীগের দোসর বানানোর চেষ্টা করছে। এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভিত্তিহীন অপপ্রচার।
তিনি বলেন, আমি ১৯৯৫ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমার তৎকালীন সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে চার দলীয় ঐক্য জোটের অন্যতম শরিকদল ছিল । পরবর্তীতে ২০১২ সালে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি আমিনী রঃ ইন্তেকাল করলে খতিবে বাঙ্গাল মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব এর হাত ধরে বাংলার মাদানী আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী রহ. এর জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশে যোগদান করি। এবং ২০১৩ সনে দেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করি। সেই থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত গোটা নারায়ণগঞ্জে রাজনৈতিক ও সামাজিক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। সেই সুবাদে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ হয়। সে সকল সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোর পুরনো ছবি ব্যবহার করে একশ্রেণীর স্বার্থান্বেষী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তারপরেও নারায়ণগঞ্জের মানুষের কল্যাণে সামাজিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব পালনে এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মাওলানা ফেরদাউস বলেন,আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা যেন সত্য প্রচার করেন। মিথ্যা প্রচারে কারও ক্ষণিকের লাভ হতে পারে, কিন্তু আল্লাহর কাছে কেউই রক্ষা পাবে না। যদি কেউ আমার কোনো ছবি প্রচার করেন, তবে সেই সঙ্গে আমার আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুমের ছবিও দেখান। তাহলেই মানুষ সত্যটা জানতে পারবে।
সর্বশেষ তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন আসুন আমরা আমাদের নারায়ণগঞ্জকে সুন্দরভাবে সাজাই, কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করি। এই দেশ আমার, আপনার । তাই দলমত নির্বিশেষে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এক কাতারে কাজ করতে চাই।
তিনি সমালোচকদের উদ্দেশ্যে বলেন সমালোচনা করে পৃথিবীতে কোনো মানুষকে দামানো যায়নি। বরং যারা সমালোচনা করেছে, এক পর্যায়ে তারাই শেষ হয়ে গেছে। সমালোচনা করুন, তবে যেন তা গঠনমূলক হয়।