ফতুল্লায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে হুমকির অভিযোগ

ফতুল্লা প্রতিনিধি

ফতুল্লা এলাকায় একটি গুরুতর ঘটনা নজরে এসেছে, যেখানে স্থানীয় যুবনেতা মোঃ নাজমুল হাসান বাবু, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক, তার নিরাপত্তা হুমকির অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম মেছের ও তার সহযোগীরা নাজমুলকে শারীরিক হুমকি দিয়েছেন।


অভিযোগকারী নাজমুল হাসান বাবু জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিবাদীর মাদক ব্যবসা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ প্রকাশ করছিলেন। সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে তিনি মাদক নির্মূল এবং এলাকায় শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সচেষ্ট। কিন্তু তার এই প্রতিবাদের কারণে বিবাদী তার বিরুদ্ধে শত্রুতা পোষণ করছেন।

নাজমুল বলেন, “মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সচেতনতা ও প্রতিবাদ আমার নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু সেই কারণেই আমার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা অভিযোগে নাজমুল উল্লেখ করেন, গত ১৬ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে রাত আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় বিবাদী তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই বিবাদী এবং অজ্ঞাত আরও ৮–১০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী দেশীয় অস্ত্রসহ তার অফিসের সামনে হাজির হন।

নাজমুল জানান, তিনি ওই সময় অফিসে উপস্থিত না থাকায় সন্ত্রাসীরা আশেপাশের লোকজনকে গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করেন। তাদের কথায় জানা যায়, “যদি আমরা তাকে খুঁজে পাই, তাকে মারার চেষ্টা করা হবে।” এই ঘটনায় নাজমুল বাবুর হাতে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, যা ঘটনার প্রমাণ হিসেবে পুলিশ তদন্তে ব্যবহার করতে পারেন।


ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ বিষয়টি তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। থানার ওসি তদন্ত  জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে। আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশের প্রাথমিক পদক্ষেপ স্থানীয়দের মধ্যে কিছুটা আশ্বস্তি সৃষ্টি করেছে। তবে সন্ত্রাসী হুমকি এবং মিথ্যা মামলার ঘটনায় এলাকায় সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা উদ্বিগ্ন

নাজমুল বাবু জানিয়েছেন, ঘটনার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ, স্থানীয়দের সাক্ষ্য ও অন্যান্য প্রমাণ পুলিশকে সরবরাহ করা হবে। এগুলো তদন্তে কাজে লাগানো হলে দোষীদের শনাক্তকরণ ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ হবে।

স্থানীয়দের মতে, নাজমুল শুধু সামাজিক দায়বদ্ধতা পালন করেছেন এবং মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে সতর্কতা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তার এই দায়িত্ব পালনের কারণে রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এই ঘটনায় পুলিশের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *