ধর্ষনের অভিযোগে গণপিটুনিতে মৃত্যু

ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর মেনরোড এলাকায় এক শিশুকে (১১) ধর্ষণের অভিযোগে আবু হানিফ (৩০) নামের একজন নাইট গার্ডকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ওসি নাসির আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি নিহত ব্যক্তির নাম আবু হানিফ। তিনি খানপুর মেইন রোডের জিতু ভিলার নাইটগার্ড। এই ভবনেরই ভাড়াটিয়া একজন গার্মেন্টস কর্মীর ১১ বছর বয়সী শিশু সন্তানকে সে ভয় দেখিয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করে। রোববার রাতে ঘটনাটি মেয়েটি তার মাকে জানালে তার মা আজ সোমবার দুপুরে এলাকাবাসীকে জানায়। ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার দুপুরে প্রথমে কয়েকজন তাকে ধরে খানপুর জোড়া ট্যাংকি এলাকায় নিয়ে আসে। পরে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে। তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে আমাদের অফিসাররা এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পরে জানা যাবে।
নিহতের বোন রাবেয়া বেগমের স্বামী মোহাম্মদ ইব্রাহিম জানান, আজ দুপুর ১:৩০ টায় খানপুরের আজিম ভিলার মালিকের ছেলে অভি তাদের বাসায় আসে। এসে তার স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ইব্রাহিম মিয়াকে ধরে খানপুর জোড়া টাংকির নিচে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে ইব্রাহিম মিয়া দেখতে পান তার শ্যালক আবু হানিফকে সেখানে আটকে রাখা হয়েছে। অভির লোকজন ইব্রাহিম মিয়াকে চড় থাপ্পড় মারে। তার লুঙ্গি খুলে উলঙ্গ করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তারা আবু হানিফকে অটো রিক্সায় করে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। রাতে তারা খবর পান যে খানপুর হাসপাতালে কে বা কারা আবু হানিফের লাশ ফেলে রেখে গেছে।


তিনি জানান, নিহত আবু হানিফের পিতার নাম আবুল কালাম। তার গ্রামের বাড়ি খুলনা সদরের খুনতা কাটা গ্রামে। নারায়ণগঞ্জে সে খানপুরের ইতু ভিলাতেই থাকতো। তার দুই মেয়ে এক ছেলে ওই স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে থাকে।
খানপুর হাসপাতালের কর্তব্যরত ডা: শাহাদাৎ জানান, মুমূর্ষু অবস্থায় কয়েকজন যুবক তাকে নিয়ে আসে আনুমানিক ৩টায়। তার হাতে পায়ে ক্ষত ছিল, ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলায় অজ্ঞাত যুবকরা তাকে ফেলে পালায়। পুলিশকে সাথে সাথে খবর দেয়া হলেও সেখান থেকে কেউ আসেনি। ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনাস্থলে যাওয়া নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এস আই আব্দুল আজিজ রাত ১১ টায় জানান, ঘটনার ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *