ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুসহ অন্যান্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, নারায়ণগঞ্জ বার ইউনিট।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় জেলা আইনজীবী সমিতির বার ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত হয় এ মানববন্ধন। এতে শতাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু শুধু দক্ষ আইনজীবীই নন, তাঁরা দুইজনই জনপ্রিয় ও সফল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, উদ্দেশ্যমূলক ও ভিত্তিহীন।
বক্তারা বলেন, একটি কুচক্রী মহল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আইনজীবীদের ভাবমূর্তি নষ্ট করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এমন বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
তাঁরা আরও বলেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তাই কোনো সংবাদ প্রকাশের আগে গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো তথ্য যাচাই করা। যাচাই ছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রচার শুধু ব্যক্তি নয়, গোটা আইনজীবী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ভবিষ্যতে যদি এ ধরনের মিথ্যা ও অপপ্রচারমূলক সংবাদ প্রকাশ অব্যাহত থাকে, তবে তাঁরা আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।
মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়, যা জেলা আইনজীবী সমিতির চত্বর প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিণত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কাজী আঃ গাফফার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ. এম. আনোয়ার প্রধান, জেলা আইনজীবী ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট বেনজির আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট জহিরুল হক, অ্যাডভোকেট মেহেবুব আরেফিন শিমু, অ্যাডভোকেট কায়সার আলম চৌধুরী টুটুল, অ্যাডভোকেট আসমা হেলেন বিথি, অ্যাডভোকেট শামসুন্নুর বাঁধন, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুল হক হান্টু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদসহ অনেকে।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন—অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মশিউর রহমান শাহিন, অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, অ্যাডভোকেট মানিক মিয়া, অ্যাডভোকেট আলম চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট সামসুল আরেফিন টুটুল, অ্যাডভোকেট জাহিদ হাসান মুক্তা, অ্যাডভোকেট একেএম মাহমুদুল হক আলমগীর, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মাসুম, অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট সুমন মিয়া, অ্যাডভোকেট হৃদয়, অ্যাডভোকেট এস. এম. সায়েম রানা, অ্যাডভোকেট মাঈনউদ্দিন রেজা, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দীন ভুঁইয়া সবুজ, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান ফাহিম, অ্যাডভোকেট মাসুদা আক্তার, অ্যাডভোকেট লিজা, অ্যাডভোকেট রাসেল মিয়া, অ্যাডভোকেট শাহ আলম শামীম, অ্যাডভোকেট জামান মিয়া, অ্যাডভোকেট কাজী সুমন, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট আদনান মোল্লা, অ্যাডভোকেট আবু রায়হান, অ্যাডভোকেট আশরাফুল বারী ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলমসহ আরও অনেকে।