ট্রিবিউন ডেস্ক রিপোর্ট
আফগানিস্তানের আমন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় মেহমান হিসেবে বর্তমানে কাবুল সফরে রয়েছেন আলেম নেতা মনির হোসাইন কাসেমী। সফর প্রসঙ্গে তিনি জানান, আফগানিস্তান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তাদের সরকারের দাওয়াতেই এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর কাসেমী আফগানিস্তানের প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রী ও শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল মানবাধিকার, নারী অধিকার ও মুসলিম বিশ্বের অভিন্ন স্বার্থ রক্ষা।
কাসেমী জানান, আফগানিস্তানের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিনে দেখতে তারা বিভিন্ন প্রদেশ সফর করছেন। কাবুল থেকে বর্তমানে তিনি খুস্ত প্রদেশে পৌঁছেছেন। আরও দুই-তিন দিন সফর চলবে। এ সময় তারা স্থানীয় আলেম, সরকারী প্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সফরে দুই দেশের মধ্যে বহুমাত্রিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।আলেম সমাজের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন, কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা, চিকিৎসা খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিক্ষা ক্ষেত্রে যৌথ উদ্যোগ।
কাসেমী বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আলেমদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার হলে উভয় দেশের মানুষেরই উপকার হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে মানবাধিকার ও নারী অধিকার ইস্যু। আফগানিস্তানে এই দুই বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নানা বিতর্ক রয়েছে। কাসেমী জানান, আফগান সরকার এ বিষয়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছে এবং বাংলাদেশি প্রতিনিধিরাও নিজেদের মতামত পেশ করেছেন।
সম্প্রতি আফগানিস্তানে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কাসেমী জানান, সফরের অংশ হিসেবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করবেন এবং দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবেন।
কাসেমীর মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপাশি বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সহযোগিতা বাস্তবায়িত হবে।
আফগানিস্তানের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা, পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি এবং মানবকল্যাণে যৌথ উদ্যোগ নেওয়াই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য ,বলেন মনির হোসাইন কাসেমী।